আরবিআই-এর নয়া নির্দেশিকা, গ্রাহকদের জন্য সুখবর, চাপ বাড়ল ব্যাঙ্কের
এবার থেকে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় বা ইলেকট্রনিক ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় কোনও আর্থিক প্রতারণার মুখে পড়লে, তার দায় আর গ্রাহকদের নিতে হবে না।
এবার থেকে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় বা ইলেকট্রনিক ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় কোনও আর্থিক প্রতারণার মুখে পড়লে, তার দায় আর গ্রাহকদের নিতে হবে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অনুযায়ী সেই দায়ভার গ্রহণ করতে বাধ্য সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।[আরও পড়ুন:অনলাইন ব্যাঙ্কিং লেনদেনে জালিয়াতদের খপ্পরে পড়লে যে যে বিষয়গুলি করবেন ]
বহু সময়ে দেখা যায়, অবৈধ আর্থিক লেনদেনের শিকার হন অনেকে। কিম্বা থার্ড পার্টি লেনদেনের সময়েও প্রতারণার শিকার হন অনেকে । সেই সমস্ত ক্ষেত্রে যাবতীয় দায়ভার এবার থেকে ব্যাঙ্ককেই নিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর ফলে ওই গ্রাহকের যা আর্থিক ক্ষতি হবে , তা পূরণ করতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে।
নিজেদের নির্দেশিকায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে , এবিষয়ে কোনও গ্রাহক অভিযোগ জানানোর ১০ দিনের মাথায় ব্য়বস্থা নিতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে। শুধু তাই নয়, খোটা যাওয়া টাকার অঙ্কও তাঁকে ফিরিয়ে দিতে হবে। তবে সেজন্য ঘটনা ঘটার ৩ দিনের মধ্যেই ব্যাঙ্ককের কাছে সমস্ত অভিযোগ জানাতে হবে গ্রাহককে। আর প্রতারণার খবর চার থেকে সাতদিনের মধ্যে জানালে গ্রাহককে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকার দায় বহন করতে হবে।
উল্লেখ্য, গতবছরে একটি ম্যালওয়্যারের সমস্যার কারণে ৩.২ মিলিয়ন ডেবিটকার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হ্যাকারদের হাতে ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের সার্ভার চলে যায়। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে যান বহু মানুষ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা গিয়েছে জুন মাসে ১১১.১১ লাখ কোটি থেকে বেড়ে ১১৩.৭৩ কোটি টাকার মতো ডিজিটাল লেনদেন বেড়েছে।
ব্যাঙ্কগুলিরও তরফেও তাদের গ্রাহকদের বলা হচ্ছে অবশ্যই যেন তাঁরা SMS ও ইমেল অ্যালার্ট বৈধকরণ করে রাখেন। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী এমনই তথ্য জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। পাশাপাশি বলা হয়েছে, ব্যাঙ্কগুলির ওয়েবসাইট ও ফোন ব্যাঙ্কিং এর রাস্তাও যেন খোলা থাকে সবসময়ে।