নোট সরবরাহ ৪ গুণ বাড়াল আরবিআই, তবুও নোট সঙ্কটে ব্যাঙ্কগুলি!
সূত্রের তরফে জানা গিয়েছে, মাস পয়লাতেও নগদের ঘাটতি ব্যাঙ্কগুলিতে বহাল রয়েছে। তবে আরবিআই-এর তরফে ব্যাঙ্কগুলিকে নগদের সরবরাহ চারগুন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকেই এটিএম-গুলতে টাকার খরা কিছুটা
নয়াদিল্লি/মুম্বই/চেন্নাই, ১ ডিসেম্বর : ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে নোট সঙ্কটের জেরে আরও তাড়াতাড়ি ৫০০ টাকার নোট ছাপাতে তোড়জোড় শুরু করে দিল। কেন্দ্রের আশা নতুন নোটের সরবরাহ ব্যাঙ্কগুলিতে হয়ে গেলেই নভেম্বরের শুরু থেকে চলা নগদ সমস্যার সুরাহা হবে।
দেশজুড়ে নগদ অর্থের ঘাটতি সমস্যার মুখে ব্যাঙ্কগুলি। আজ, বৃহস্পতিবার নোট বাতিলের পর থেকে প্রথম মাস পয়লা। অথচ অধিকাংশ ব্যাঙ্কের এটিএম হয় খুলছেই না, খুললে শুধুই ২০০০ টাকার নোট বেরচ্ছে। তাও আবার কিছুক্ষণের মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি নোট ঘাটতির সমস্যায় মুখে। ব্যাঙ্কিং ডাটা বলছে নোটের সরবরাহ স্পষ্টভাবেই কমেছে। সূত্রের খবর মাইসুরু এবং শালবনীতে আরবিআই-এর দুটি ছাপাখানা এবং নাসিক ও দেবাসে সরকারি দুটি ছাপাখানায় ২টি শিফ্টের বদলে ৩টি শিফ্টে কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য শুধু ৫০০ টাকার মোটের জোগান ব্যপক পরিমানে বাড়ানো।
সূত্রের তরফে জানা গিয়েছে, মাস পয়লাতেও নগদের ঘাটতি ব্যাঙ্কগুলিতে বহাল রয়েছে। তবে আরবিআই-এর তরফে ব্যাঙ্কগুলিকে নগদের সরবরাহ চারগুন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যা গত সপ্তাহেই ব্যাঙ্কের হাতে এসে পৌঁছে গিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকেই এটিএম-গুলতে টাকার খরা কিছুটা কমতে শুরু করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
বুধবার থেকেই অধিকাংশ ব্যাঙ্ক এটিএমগুলিতেই টাকার সমস্যা হয়েছে। ব্যাঙ্কের কাছে নগদ না থাকায় এটিএম থেকেও সহজে টাকা মিলছিল না। ছোট ব্যাঙ্ক বা ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে কোনও নগদ টাকার সরবরাহই হয়নি, সেখানেই বড় ব্যঙ্কগুলিতে প্রয়োজনীয় পরিমাণের এক চতুর্থাংশ টাকা ঢুকেছে।
বেসরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের একাংশের কথায়, যারা ব্যাঙ্কগুলিতে লাইন দিচ্ছেন, তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষই টাকা তুলতে ব্যাঙ্কে আসছেন। খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে অনেককেই। ব্যাঙ্কের কাছে টাকা আসছে কিন্তু নোট সঙ্কট মেটাতে তা পর্যাপ্ত নয়।