আরবিআই খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে চিন্তিত, লকডাউনে বেড়েছে ডাল–দুধের মূল্য
আরবিআই খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে চিন্তিত, লকডাউনে বেড়েছে ডাল–দুধের মূল্য
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ২৫ মার্চ থেকে ভারতে আচমকা ও সম্পূর্ণ লকডাউন হয়ে যায়, যার ফলস্বরূপ অনিচ্ছাকৃতভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যায়। যা নিয়ে সাধারণ মানু্ষকে নাকানি চোবানি খেতে হচ্ছে।
চাহিদা বেড়ছে তাই দামও
এপ্রিল মাসে দেশের পুরো অর্থনৈতিক কার্যকলাপ স্থগিত ছিল। কোটি কোটি ভারতবাসী বাধ্য হয়েছেন বাড়ির মধ্যে থাকতে এবং বাড়ির বাইরে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়া একরকম অসম্ভব হয়ে পড়েছিল যার কারণে বাড়িতেই যা কোনওদিন রান্না করেননি তাই রান্না করতে শুরু করে দেয় দেশবাসী। ডাল, আটা, চাল, রান্নার তেল ও শাকসব্জির চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরবরাহের ঘাটতির কারণে এগুলির মধ্যে কয়েকটি প্রয়োজনীয় সামগ্রীর খুচরো দামও বেড়েছে।
ডালের দাম আকাশছোঁয়া
উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগের পক্ষ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, দিল্লির মুদি দোকানে ১৫ দিনের মধ্যে ১৫ এপ্রিল অড়হর ডালের দাম বেড়েছে ৬ টাকা (প্রতি কেজি ১০১ টাকা করে)। ৩০ এপ্রিল ফের সেই দামের সঙ্গে আরও পাঁচ টাকা যোগ করা হয়। উত্তর ভারতীয়দের কাছে অড়হর ডাল খুবই প্রিয়, গোটা এপ্রিল মাসে এই ডালের দাম বেড়েছে মোট ১১ টাকা (১০৬ টাকা প্রতি কেজি। বাস্তবে মুগ, মসুর, ছোলা ও বিউলির ডালের দাম বেড়েছে প্রত্যেক খুচরো দোকানগুলিতে। এক বড় অংশের ডাল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন যে শ্রমিকদের অভাব (পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার জন্য) প্রভাব ফেলছে ডাল মিলের ওপর এবং খুচরা বিক্রেতাদের সামগ্রিক সরবরাহ এপ্রিলে প্রায় ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ফলস্বরূপ এটি এই মাসে খুচরা দামগুলিতে ১০-১৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
বেড়েছে দুধের দাম
তথ্যে আরও জানা গিয়েছে যে মে মাসে দুধের দাম কীভাবে বেড়েছে, সারাদেশে গড়ে খুচরা মূল্য মার্চ শেষে প্রতি লিটারে ৪৫.৮০ টাকা থেকে বেড়ে এপ্রিলের শেষে ৪৭.০৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে। কিছু কেন্দ্রে এই বৃদ্ধি ছিল অনেক বেশি।
খাদ্যের মুদ্রাস্ফীতি
এই তথ্যগুলি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) মুদ্রা নীতি কমিটি দ্বারা প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য মুদ্রাস্ফীতি উদ্বেগকে ইঙ্গিত করে। এমপিসি তার সর্বশেষ মন্তব্যে বলেছে যে এ বছর অন্যান্য বছরের মূদ্রাস্ফীতির দৃষ্টিভঙ্গি ‘অত্যন্ত অনিশ্চিত', তবে সরবরাহের সীমাবদ্ধতা স্বল্প হওয়ায় আগামী মাসগুলিতে খাদ্য মূদ্রাস্ফীতি মাঝারি হতে পারে। পরিসংখ্যান ও কর্মসূচী বাস্তবায়ন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এপ্রিল মাসে খাদ্য মূদ্রাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৬%, যা আগের মাসে ৭.৮% ছিল
করোনা আবহে বড় রদবদল ইসলামাবাদে, ফের একবার পাকিস্তানের ক্ষমতায় সেনা!