দিল্লিতে স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করে আত্মঘাতী র-এর আধিকারিক
প্রাথমিক তদন্তে জানি গিয়েছে, ৫২ বছরের অনন্যবাবু প্রথমে পরিবারের সবাইকে হত্যা করেন, তারপর নিজের গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। যদিও এই হত্যার পিছনে কোনও নির্দিষ্ট কারণ এখনও জানতে পারা যায়নি।
ক্যাবিনেট সেক্রেটারিয়েটে অনন্যবাবু ফিল্ড অফিসার হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন।অনন্যবাবুর স্ত্রী ও মেয়ের গলা কেটে খুন করা হয়েছে। দুজনেরই মাথায় একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ফ্ল্যাটের একটি ঘর থেকে ওই দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্য একটি শোয়ার ঘর থেকে ছেলের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মাথাতেও অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। বসার ঘর থেকে অনন্যবাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাড়ি থেকে রক্তমাখা একটি হাতুড়ি ও নারকেল কোরানি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় তৃতীয় ব্যক্তির যুক্ত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা
এই ঘটনায় বাইরের কোনও ব্যক্তি সামিল নয় বলেই অনুমান তদন্তকারি অফিসারদের। তাদের ব্যাখ্যা ফ্ল্যাটে প্রবেশ করার দুটি দরজাই ভিতর থেকে বন্ধ করা ছিল। তবে এখনও কোনও সুইসাইড নোট পায়নি পুলিশ। ৪টি মৃতদেহই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার অফিসে গিয়েছিলেন অনন্যবাবু। বাড়িতে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে রাতের খাবারও খান তাঁরা। প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, এদিন রাত সাড়ে দশটা নাগাদ শেষবারের মতো অনন্যবাবু ও তাঁর পরিবারকে দেখা গিয়েছিল। পরের দিন সকালে বাড়ির পরিচারিকা ও দুধওয়ালা বারবার দরজা ধাক্কা দিয়েও কোনও সাড়া না মেলায় সন্দেহ হয়। দুপুরে তাদের এক আত্মীয় পরিস্থিতি বুঝতে বাড়িতে যান।
এরপর আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী, বাড়ির গ্রিল বেয়ে চার তলায় ওঠে, তারপর জানালার কাঁচ ভেঙে বারান্দার দরজা খুলে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই দরজাটি বিতর থেকে বন্ধ ছিল। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হলে, বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে পুলিশ। ডিসিপি পি এস খুশওয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গঠন করা