২০১৯-এর লড়াইয়ে রাহুলের দলকে সাহায্য করতে নেমেছে ফেসবুক! বিস্ফোরক অভিযোগ মোদীর দলের
ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অযাচিত উপায়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ভাষাতেই সতর্কবার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও আইনমন্ত্রী।
ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অযাচিত উপায়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার এই ভাষাতেই সতর্কবার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, কেন্দ্র সংবাদ মাধ্যম, বক্তব্য কিংবা মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিশ্বাসী। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের আদানপ্রদানেও বিশ্বাসী কেন্দ্র। কিন্তু ফেসবুক-সহ সোশ্যাল মিডিয়া যদি কোনও ভাবে ভারতী নির্বাচনী ব্যবস্থায় অযাচিত ভাবে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে, তাহলে তা মেনে নেওয়া হবে না। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পার্লামেন্ট হাউস কমপ্লেক্সে সংবাদ মাধ্যমকে রবিশঙ্কর প্রসাদ এমনটাই জানিয়েছেন।
আমেরিকার একটি স্বাধীন সরকারি সংস্থা ইউএস ফেডেরাল ট্রেড কমিশন জানিয়েছে, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া তাদের নিজেদের মতো করে গোপনীয়তার নীতি মেনে চলে। তবে তার মধ্যেও ফেসবুক ২০১১ সালের গোপনীয়তার নীতি ভেঙেছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কেননা সংসবাদ মাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে, লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর তথ্য তারা একটি রাজনৈতিক পরামর্শদানকারী সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে।
রিপোর্টে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, কেম্ব্রিজ অ্যানালিটিকা নামে একটি সংস্থা ফেসবুকের থেকে পাওয়া তথ্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য রিসার্চের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৬-র নির্বাচনী প্রচারের সময় এই কাজ করা হয় বলে অভিযোগ।
রবিশঙ্কর প্রসাদের অভিযোগ কংগ্রেসের সঙ্গে এই কেম্ব্রিজ অ্যানালিটিকার যোগ রয়েছে।
কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, নির্বাচনে জিততে, চুরি করা তথ্য এবং তথ্য বিকৃতির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। রাহুল গান্ধীর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে কেম্ব্রিজ অ্যানালিটিকার ভূমিকা কী, সেই প্রশ্ন তুলেছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর আরও অভিযোগ, ২০১৯-এর নির্বাচনে লড়াই করতে কংগ্রেস কেম্ব্রিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।