গোপনীয়তা খর্ব হচ্ছে আরোগ্য সেতু অ্যাপে! চাপে পড়ে কী বললেন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৪ এপ্রিল দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন আরোগ্য সেতু অ্যাপটি ডাউনলোড করার জন্য। তাঁর দাবি ছিল, এই অ্যাপটি জনগণকে সচেতন করবে। তবে এরপর থেকে বেশ কিছু ক্ষেত্রেই এই অ্যাপের উপর উঠেছে প্রশ্ন। বলা হচ্ছে যে এই অ্যাপ ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নয়। এর থেকে আপনার মোবাইলে থাকা সব তথ্য লোপাট হয়ে যেতে পারে।
আরোগ্য সেতু অ্যাপ নিয়ে সেনার সতর্কবার্তা
আরোগ্য সেতু অ্যাপের নকল ভার্সন এসেছে গুগল অ্যাপে। এটা ডাউনলোড করলে আপনার মোবাইল থেকে সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে হ্যাকাররা। এমনই খবর প্রকাশ করে তাদের জওয়ানদের সতর্ক করে দিল। পাশাপাশি নির্দেশিকা জারি হয়েছে যে mygov.in থেকেই যেন অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়।
কী কাজ করে আরোগ্য সেতু অ্যাপ?
কেন্দ্রের চালু করা নতুন এই আরোগ্য সেতু অ্যাপটিকে যে কী ভাবে আরও জনপ্রিয় করে তোলা যায় তা নিয়ে ভাবছে সরকার। প্রসঙ্গত, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুর কী ভাবে কনট্যাক্ট ট্রেসিং বা সংক্রমণের উৎস খোঁজার ক্ষেত্রে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে। মোদী সরকারও এই কাজটাই করার জন্য আনা হয় এই আরোগ্য সেতু অ্যাপটি।
রাহুলের তোপের মুখে আরোগ্য সেতু অ্যাপ
তবে ক্রমাগত বিরোধীরা এই অ্যাপের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে এসেছে। কয়েকদিন আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে লিখেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার আরোগ্য সেতু অ্যাপ দিয়ে দেশের মানুষের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। এই আরোগ্য সেতু অ্যাপের উপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যার ফলে তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরিসর খর্ব হয়ে যাবে।
রাহুলকে জবাব রবিশঙ্করের
তবে এই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ দাবি করেন, এই অ্যাপের দায়িত্ব সম্পূর্ণ ভাবে একটি প্রাইভেট সংস্থাকে দেওয়া। সরকার কোনও ভাবেই এই অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে না। আমরা খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই সময় রাহুল গান্ধীর কথার প্রসঙ্গ টেনে লোকোদের এই সব মিথ্যা কথায় কান দেওয়া উচিত না।
খারাপ সময় আসছে, করোনা মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত ভারত? জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন