২৮ বছর পরে ফের রথযাত্রা! পথে কোন কোন রাজ্য, জেনে নিন
ফের রথযাত্রা। মঙ্গলবার অযোধ্যা থেকে শুরু হওয়া এই রথযাত্রা দুমাসে ছয় রাজ্য পেরিয়ে শেষ হবে তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে। সামনে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থাকলেও এই রথযাত্রা হচ্ছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে।
ফের রথযাত্রা। মঙ্গলবার অযোধ্যা থেকে শুরু হওয়া এই রথযাত্রা দুমাসে ছয় রাজ্য পেরিয়ে শেষ হবে তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে। সামনে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থাকলেও এই রথযাত্রা হচ্ছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে।
রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে চূড়ান্ত শুনানির আগের দিনই শুরু হচ্ছে রথ যাত্রা। নাম রাম রাজ্য রথ যাত্রা। বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা এই রথযাত্র সূচনার অনুষ্ঠানে।
১৯৯০ সালে অযোধ্যায় রামমন্দিরের জন্য রথযাত্রা শুরু করেছিলেন বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানী। যা বিজেপিকে দেশে বড় রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত করে। কিন্তু গত কয়েক বছরে মন্দির ইস্যু বিজেপির ইস্তেহারের একেবারে পিছনের পাতায় চলে গিয়েছে। গতবছরের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেও যা ছিল একেবারে পিছনের সারিতে।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার পর যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মান তাঁর মূল বিষয়সূচিতে রয়েছে। দিওয়ালির প্রাক্কালে মন্দির শহরে রিলিজিয়াস ট্যুরিজম-সহ একাধিক প্রস্তাবের কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
রাম রাজ্য রথযাত্রার সূচনা করা হবে করসেবকপুরম থেকে। ১৯৯০ সালে ভিএইচপি এই করসেবকপুরম তৈরি করেছিল। যেখানে ভিএইচপির কর্মীরা সেখানে মন্দিরের পিলার তৈরিতে ব্যস্ত। একদিন সেখানে রাম মন্দির তৈরি হবে বলেই আশা তাদের।
একটি টাটা মিনি ট্রাককে সাজিয়ে রথে রূপান্তরিত করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ ছাড়াও মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক দিয়ে যাবে এই রথ। এবছরের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কর্নাটকের শাসন ক্ষমতায় ফিরবে বলে আশা করছে। কর্নাটক থেকে রথ যাবে কেরলে। যেখানে বিজেপি তাদের ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে। সবশেষে রথ যাবে তামিলনাড়ুতে।
সরকারিভাবে রথযাত্রার আয়োজক মহারাষ্ট্রের একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন। তাতে ভিএইচপি, মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ অংশগ্রহণ করবে।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আড়ালে, বিজেপি এই রথযাত্রার আয়োজক বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি জল মাপতে নেমেছে বলেই অনুমান করছেন তাঁরা।
এই রথযাত্রাকে বিভেদমূলক বলে বর্ণনা করেছেন সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য এমএ বেবি। রাজস্থানের উপনির্বাচনে বিপুলভাবে হারের পর মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতেই বিজেপির উদ্যোগ বলে সমালোচনা করেছেন তিনি। সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের জন্য বিজেপি, মোদী এবং আরএসএস-এর সমালোচনা করেছেন তিনি।