রথের রশি ছুঁলেই পূণ্যলাভ, পুরী থেকে মাহেশ— রথযাত্রায় উন্মাদনা তুঙ্গে
চিরশাশ্বত বিশ্বাস থেকেই পুরী থেকে কলকাতার ইস্কন, মাহেশ থেকে মহিষাদল— উন্মাদনা তুঙ্গে। দেশজুড়ে শুরু রথযাত্রার উৎসবের ধূম।
রথের রশিতে টান দিলেই হবে পূণ্যলাভ। এই বিশ্বাস চিরকালীন। চিরশাশ্বত সেই বিশ্বাস থেকেই পুরী থেকে কলকাতার ইস্কন, মাহেশ থেকে মহিষাদল- উন্মাদনা তুঙ্গে। দেশজুড়ে শুরু রথযাত্রার উৎসবের ধূম। রবিবার রথযাত্রা উপলক্ষে লোকে লোকারণ্য পুণ্যধামগুলিতে। রথের রশিতে টান দিয়ে জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামকে 'মাসির বাড়ি'তে পৌঁছে দেওয়ার শুভলগ্ন যে এদিনই।
রথযাত্রার কথা বললেই যে নামটি সবার আগে মনে এসে যায়, তা হল পুরী। রথ উৎসবকে কেন্দ্র করে এদিন মাতোয়ারা জগন্নাথধাম পুরী। এবারও পুরীতে লাখো মানুষের সমাগম। রীতি মেনেই সাজিয়ে তোলা হয়েছে জগন্নাথদেবের নন্দীঘোষ, বলরামের তালধ্বজ ও সুভদ্রার দর্পদলন রথ।
শুধু পুরীর রথই নয়, ইস্কনের রথ ঘিরে ভক্তের ঢল নামে কলকাতাতেও। শুধু একটিবার রথের রশি ছোঁয়ার জন্য প্রবল উন্মাদনা ভক্তদের মধ্যে। গোটা কলকাতা ঘুরে রথ যায় ময়দানে। সেখানেই জগন্নাথ দেবের 'মাসির বাড়ি'। অ্যালবার্ট রোডের ইস্কন মন্দির থেকে শুরু হয় রথযাত্রা। হ্যাঙ্গার ফোর্ট স্ট্রিট হয়ে এজেসি বোস রোড, শরৎ বোস রোড হয়ে রথ যায় হাজরায়। তারপর এসপি মুখার্জি রোড, এক্সাইড, চৌরঙ্গি ঘুরে রথ যায় আউট্রাম ঘাটে। সেখান থেকে ময়দানে শেষ হয় রথযাত্রা।
মায়াপুরে ইস্কনের রথে আবার অংশ নেন ভিনদেশিরাও। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিভিন্ন ধর্মের মানুষ মায়াপুরের রথ উৎসবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। প্রথা মেনেই পান্ডু বিজয়ের পর রথযাত্রার সূচনা হয়। পিছনের রথে থাকেন জগন্নাথ দেব। হুগলির জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা এবার পা দিল ৬২১ বছরে। ঐতিহ্যমণ্ডিত এই রথযাত্রা ঘিরেও দেশবিদেশের মানুষের উন্মাদনা প্রবল রূপ নেয়।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মাহেশের রথযাত্রা দেখতে ভক্তরা ভিড় জমান। একই রকম উন্মাদনা দেখা যায় পূর্ব মেদিনীপুরের মাহিষাদলের রথ ঘিরেও। এই রথও নয় নয় করে ৩০০ বছরের সুপ্রাচীন। এখানে রথযাত্রা উপলক্ষে পাখির মেলা বসে। রথের রশিতে টান দেয় রাজ পরিবারের বংশধররা।