পুরীর রথযাত্রা ২০২০: আজকের 'লোকারণ্য'-হীন উৎসব জগন্নাথ ধাম কীভাবে পালন করছে! কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
'রথযাত্রা, লোকারণ্য..' না! 'লোকারণ্য' শব্দটি অবশ্য ২০২০ সালের রথযাত্রার সঙ্গে খাপ খাবে না! কারণ, করোনা-রাক্ষসের প্রবল থাবায় এই বছর জগন্নাথধাম পুরী 'লোকারণ্য' ছাড়াই সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মেনে রথযাত্রার আয়োজন করতে বাধ্য হচ্ছে। এই আয়োজন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার পরই পুরীর জগন্নাথ মন্দির ঘিরে একাধিক আয়োজন করা হয়েছে।

রথের চাকা না ঘুরলে .. ১২ বছর..
কথিত রয়েছে , যদি পুরীর রথের চাকা না ঘোরে, তাহলে সেই বছরের রথের পর আগামী ১২ বছর রথের চাকা ঘুরবে না পুরী ধামে। আর সেই সূত্র ধরেই, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। এরপরই আসে সুপ্রিম কোর্টের রায়।

রথযাত্রা ও সুপ্রিম নির্দেশ
রথযাত্রা ঘিরে সুপ্রিম কোর্ট একাধিক নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে উৎসবের আয়োজনে সোশ্যাল ডিসটেন্সিংকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে , কেবলমাত্র সেই ৫০০ জন রথযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন ,যাঁরা করোনা টেস্টে নেগেটিভ হিসাবে উঠে এসেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের হুঁশিয়ারি
রথযাত্রা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বক্তব্য রাখার সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেয় যে, ১৮-১৯ শতকে রথযাত্রার জেরে কলেরা ও প্লেগের মতো মহামারী ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল ওড়িশায়। সেই ঘটনার পুরনাবৃত্তি যেন ২০২০ সালের ওড়িশা না দেখে।

একনজরে অনুষ্ঠানের সময়সূচি
এদিন নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনেই, সকাল ১০ টায় মদনমোহন বিজে অনুষ্ঠান, সাড়ে ১০ টা থেরে ১১ টা নাগাদ চিতা লাগি অনুষ্ঠান, সাড়ে ১১ টা নাগাদ ছেড়া পাহারা অনুষ্ঠান সাড়ম্বরে আয়োজিত হবে পুরীতে। এরপর দুপুর নাগাদ শুরু হবে রথযাত্রা।

শাটডাউনে পুরীর রথযাত্রা
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার পরই, গোটা পুরীতে শাটডাউন ঘোষিত হয়। কোভিড পরিস্থিতিতে রথযাত্রা আয়োজন একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে দাবি করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। বারবার শহরবাসীকে এদিন রাস্তায় নামতে বারণ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসাজসেই হামলা! মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ আচরণের উল্লেখ করে হুঁশিয়ারি সায়ন্তনের