প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতির স্ত্রী-র মাদ্রাসায় পানীয় জলে বিষ, দায়ের হল এফআইআর
প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতির স্ত্রীর মাদ্রাসায় জলের মধ্যে ইঁদুরের বিশ মেশানোর অভিযোগ। ওই মাদ্রাসাতে কম করেও ৪,০০০ পড়ুয়া থাকে।
আলিগড়ের এক মাদ্রাসার পানীয় জলে বিষ মেশাল দুষ্কৃতীরা। 'মাদ্রাসা চাচা নেহরু'-তে ৪,০০০ পড়ুয়া রয়েছে। আল নুর নামে একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এই মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে। এই চ্যারিটেবল ট্রাস্টের প্রধান প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির স্ত্রী সালমা আনসারি।
গোটা ঘটনাকে 'অত্যন্ত মারাত্মক এবং ভয়ানক' বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সালমা। বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে ধারায় আলিগড় পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
মাদ্রাসার ওয়ার্ডেন জুনেইদ সিদ্দিকি জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় মহম্মদ আফজল নামে এক ছাত্র ট্যাপ থেকে জল নিতে গিয়েছিল। সে সময় সে দেখে দু'জন জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে কী সব মেশাচ্ছে। 'জলের ট্যাঙ্ক খুলে কী করা হচ্ছে?' সন্দেহভাজনদের এই কথা নাকি জিজ্ঞেসও করে ওই ছাত্র। কিন্তু, সন্দেহভাজনদের মধ্যে একজন দেশি রিভলবার বের করে ভয় দেখায় বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা জানাজানি হলে ওই ছাত্রকে গুলি করে খুন করার হুমকিও নাকি দেয় ওই সন্দেহভাজন লোকজন। এরপরই ওই দুই জন চলে যায়। ছাত্রটি ঘটনাস্থলে একটি খালি ইঁদুরের বিষের প্যাকেট কুড়িয়ে পায়।
হস্টেলে
ফিরে
এসে
ওয়ার্ডেনকে
সমস্ত
কথা
জানায়
ওই
ছাত্র
এবং
ইঁদুরের
বিষের
খালি
প্যাকেটও
প্রমাণ
হিসাবে
পেশ
করে।
এরপরই
পুলিশে
খবর
দেওয়া
হয়।
ওই
জলের
ট্যাঙ্কের
চারপাশ
পুলিশ
ঘিরে
দেয়।
জলের
ট্যাঙ্কের
সঙ্গে
সংযোগ
থাকা
সমস্ত
ট্যাপও
বন্ধ
রাখতে
নির্দেশ
দেওয়া
হয়।
আলিগড়ের
সিনিয়র
পুলিশ
সুপার
রাজেশ
পাণ্ডে
জানিয়েছেন,
'মাদ্রাসার
এক
পড়ুয়া
সমস্ত
ঘটনাটি
দেখে
ফেলায়
বড়
বিপদ
এড়ানো
গিয়েছে।
ফরেনসিক
পরীক্ষার
জন্য
ওই
ট্যাঙ্কের
জলের
নমুনা
সংগ্রহ
করা
হয়েছে।'
আলিগড়ের
জে
এন
মেডিক্যাল
কলেজের
চিফ
মেডিক্যাল
অফিসার
এহতিসাম
আহমেদ
জানিয়েছেন,
'ইঁদুরের
বিষ
মিশ্রিত
জল
খেয়ে
পড়ুয়ারা
গুরুতর
অসুস্থ
হতে
পারত।
কারণ,
ইঁদুরের
বিষ
রক্তকে
ঘন
করে
দেয়।
তবে,
নির্ভর
করছে
কতটা
কড়া
ধাঁচের
ইঁদুরের
বিষ
ব্যবহার
করা
হচ্ছে
তার
উপরে।'
এদিকে, মাদ্রাসার প্রধান সালমা আনসারি জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরই শিক্ষালয় জুড়ে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ আপাতত ওই দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।