ধর্ষকরা ভয় দেখালেও চুপ করে ছিল পুলিস, অভিযোগ উন্নাওয়ের নির্যাতিতার বাবার
জীবন যুদ্ধে শেষে হারতেই হল উন্নাওয়ের নির্যাতিতাকে। ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল শরীর। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার স্বীকার করতে হয়েছে তাকে।
জীবন যুদ্ধে শেষে হারতেই হল উন্নাওয়ের নির্যাতিতাকে। ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল শরীর। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার স্বীকার করতে হয়েছে তাকে। তারপর থেকে যেন ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা উন্নাও। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে উন্নাও। ক্ষুব্ধ নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করেছেন ঘটনার পর েথকে তাঁদের ভয় দেখিয়ে চলেছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু সব জেনেও চুপ করে বসেছিল পুলিস।
হুমকি দিচ্ছিল ধর্ষকরা
নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করেছেন গতবছর ধর্ষণের ঘটনার পর পুলিসে অভিযোগ জানানো নিয়ে অভিযুক্তরা তাঁদের ভয় দেখিয়ে যাচ্ছিল। এই ঘটনার কথা পুলিসকেও জানিয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু পুলিস কোনও গুরুত্ব দেয়নি। নির্যাতিতার কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে দেওয়া হয়নি। সেই সুযোগেরই ব্যবহার করেছিল ধর্ষকরা।
আদালতে যাওয়ার পথে আগুন
সেদিন আদালতে মামলা শুনানিেত যাচ্ছিলেন নির্যাতিতা তরুণী। সেই সময় ধর্ষকরা তাঁকে মারধর করে তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে েদয়। সেই আগুন নিয়েই এক কিলোমিটার হেঁটে সাহায্য চেয়েছিলেন নির্যাতিতা। নিজেই রাস্তার ধারে কাজ করা এক ব্যক্তির ফোন নিয়ে ১২২ ডায়াল করে পুলিসের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। তারপরে অ্যাম্বুলেন্স এবং পুলিসের গাড়ি এসে তাঁকে উদ্ধার করে।
বাঁচানো গেল না নির্যাতিতাকে
৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা। পুলিস প্রথমে তাঁকে লখনউয়ের হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। পরে সেখান থেকে এয়ারলিফট করে দিল্লির সফদর জঙ্গ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শুক্রবার রাতে মারা যান তিনি। ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলার নিষ্কপত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হবে সেটা নিয়ে উদ্বেগে পরিবার। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে হায়দরাবাদ পুলিসের মতোই ধর্ষকদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।