করোনা যুদ্ধে বড় ধাক্কা খেল ভারত! কোভিড-১৯-এর ব়্যাপিড টেস্ট বন্ধ করা হল অনির্দিষ্টকালের জন্য
অ্যাকুরেসি রেট ছিল মাত্র ৫.৪ শতাংশ। আর এর জেরে আইসিএমআর কোভিড-১৯-এর ব়্যাপিড টেস্ট দুই দিনের জন্য বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছিল রাজ্যগুলিকে। এই পরামর্শ দেওযা হয়েছিল ২১ এপ্রিল। তবে এরপর ব়্যাপিড টেস্ট জারি রাখার কোনও নির্দেশ দেয়নি। আর এদিন পরবর্তী নির্দেশ পাওযা না পর্যন্ত রাজ্যগুলিকে ব়্যাপিড টেস্ট সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ রাখতে বলা হল আইসিএমআর-এর তরফে।
টেস্ট কিট নিয়ে অসন্তোষ জানায় একাধিক রাজ্য
পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্য খারাপ টেস্টিং কিট দেওয়ার অভিযোগ তোলে। এরপরই ভারতে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানায়।
কী অভিযোগ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ?
এর আগে পশ্চিমবঙ্গ অভিযোগ করেছিল, নাইসেড-এর দেওয়া কিট-এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে রাজ্য়কে। যে টেস্ট কিট নাইসেড সরবরাহ করেছে, তা ত্রুটিপূর্ণ। এই অভিযোগের পরই সোমবার আইসিএমআরের তরফে বলা হয় যে রাজ্যকে অতিরিক্ত টেস্ট কিট সরবরাহ করা হবে।
করোনা ভাইরাস টেস্টের লক্ষ্যপূরণ হবে না
দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই প্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে বাড়ানো হল দৈনিক করোনা পরীক্ষার সংখ্যা। ৩১শে মে-র মধ্যে প্রতিদিন ১ লক্ষ পরীক্ষা করা সম্ভব হবে বলে আশা আইসিএমআর-এর। গোটা দেশে ১৬টি আঞ্চলিক পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরী করা হচ্ছে। এইগুলি স্বনির্ভর ইউনিট হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া এনআইএমআর দিল্লি এবং এনআইভি পুনে পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে জানিয়েছে আইসিএমআর। তবে এই ব়্যাপিড টেস্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই টার্গেট পূরণ করা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না।
দেশের জন্য বড় ধাক্কা
দেশে করোনা সংক্রিমতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৪ হাজারের গণ্ডি। গত কয়েকদিন ধরেই নিয়ম করে গড় ১৫০০ জন করে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন এই সংক্রমণে। এই মারণ ভাইরাসে দেশে মৃতের সংখ্যা এখন ৮০০ ছুঁই ছুঁই। এই পরিস্থিতিতে দেশের হটস্পটগুলিতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট রাজ্য। এই অবস্থায় দুই দিন করোনার ব়্যাপিড টেস্ট বন্ধ রাখা এক বিশাল বড় ধাক্কা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।