ধর্ষণের ঘটনার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার অন্যতম কারণ লিভ-ইন সম্পর্কের ব্যর্থতা : দিল্লি হাইকোর্ট
সম্প্রতি বিচারপতি কৈলাশ গম্ভীর এবং বিচারপতি সুনীতা গুপ্ত একটি রায় দেন। এই রায় অনুযায়ী, সম্পর্ক, সহবাস,বিবাহ এমনকী 'লিভ-ইন' সম্পর্কের মতো জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি নেওয়ার আগে ছেলে ও মেয়েকে অনেক যত্নশীল ও অধিক সতর্ক হতে হবে।
আদালত জানিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনা এভাবে বাড়ার পিছনে অবশ্যই অসফল 'লিভ-ইন' সম্পর্ক অন্যতম কারণ। তাছাড়া সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে তরুণ-তরুণী ও যুবক-যুবতীরা অনের অপরিণত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন যার ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খারাপভাবে সম্পর্কগুলি শেষ হয়। এমনরী দৈহিক সম্পর্ক গড়ার পরও সম্পর্কের শেষ হয়ে যায়। এগুলিও ধর্ষণের ঘটনা বাড়ার ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ।
২০০৬ সালের একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে এই বিষয়গুলি তুলে ধরেন বিচারকরা। ২০০৬ সালে মেয়ের প্রেমিককে খুন করে বাবা-সহ পরিবারের চার সদস্য। পশ্চিম দিল্লির উত্তমনগর এলাকার এই ঘটনাটি ঘটে।
এই ঘটনায় বাবা ছাড়াও দোষী রবি কুমার, সঞ্জয়, করমবীর এবং রাজকুমার মেয়েটির ভাই হয়। কুলদীপ নামের একটি ছেলেকে ভালবাসত ওই মেয়েটি। আর এই সম্পর্কের জেরেই নাকি সম্মানহানি হচ্ছিল মেয়েটির পরিবারের। আর সে কারণেই কুলদীপকে খুন করা হয়েছিল।
দুই সাবালক মানুষের একে অপরের প্রতি আকর্ষণ, প্রেম, ভালবাসা জাতি, সম্প্রদায়, গোষ্ঠীর উর্ধ্বে একথা মেনে নিয়েই আদালত জানিয়েছে, বাবা-মাকে এই ধরণের ঘটনায় আরও সংবেদনশীল এবং পরিণত আচরণ করতে হবে। ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে এই ধরণের সমস্যার সমাধান করতে হবে। রাগের মাথায় করা কোনও কাজই সঠিক হতে পারে না।
যদি বিচক্ষণতার সঙ্গে বিষয়টিকে সামলানো হতো তাহলে হয়তো কুলদীপের মূল্যবান জীবন যেত না। দোষীদের জীবনও এমন অন্ধকারে তলিয়ে যেত না।