ফের হারের মালা গলায় পরলেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা
ফের হারের মালা গলায় পরলেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা
হার পিছু ছাড়ছে না কংগ্রেসের দাপুটে মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার। হরিয়ানায় যেখানে কংগ্রেস বিজেপির ঘাড়ে শ্বাস ফেলছে সেখানেও হেরেছেন রণদীপ সুরজেওয়ালা। হরিয়ানার কৈথাল বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ৫৩০ ভোটে হেরেছেন তিনি। এই কেন্দ্র থেকেই গত দুবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
কাঠিয়াল হারাল সুরজেওয়ালাকে
হরিয়ানায় কংগ্রেস রীতিমতো ভাল ভাল ফল করেছে। বিজেপি বেশ কাবু কংগ্রেসের এই দাপুটে ইনিংসে। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপিকে কড়া টক্কর দিতে পেরে খুশির হাওয়া কংগ্রেস শিবিরে। িকন্তু এই উৎসবের মাঝেই কাঁটা হয়ে রয়েছেন দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। কৈথাল বিধানসভা কেন্দ্রে ৫৩০ ভোটে হেরেছেন তিনি। ২০০৯ এবং ২০১৪ পর পর দু বছরই এই কাঠিয়াল থেকেই জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার আর কৈথালের বাসিন্দারা তাঁর উপর ভরসা রাখতে পারল না। হারের বার্তা পাওয়ার পর সুরজেওয়ালা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন তিনি মানবতার খাতিরেই কৈথালের রায় মাথা পেতে নিয়েছেন।
ঝিন্দেও বিধানসভা উপনির্বাচনে হেরেছিলেন সুরজেওয়ালা
শুধু কৈথালই যে তাঁর বিপক্ষে জবাব দিল এমন নয় এর আগে লোকসভা ভোেটর আগে ঝিন্দে বিধানসভা উপনির্বাচনেও হেরেছিলেন তিনি। সেখানকার বাসিন্দারাও মেনে নেননি সুরজেওয়ালাকে। যদিও কোনও দিনই ঝিন্দ তাঁর কেন্দ্র ছিল না। আবার অনেকেই বলেছিলেন বিজেিপর ঢেউ বইছিল সেসময় গোটা দেশে। সেকারণেই জিততে পারেননি তিনি।
দীর্ঘদিন কেন্দ্রে মন না দেওয়াতেই এই হার
কংগ্রেসের ঘুঁটি যখন শক্তিশালী হয়েছে হরিয়ানায়, তখন সুরজেওয়ালা যে হেরে যাবেন সেটা কল্পনাতীত ছিল কুমারী শৈলজারও। পর পর দুবারের নির্বাচিত বিধায়ক। কংগ্রেসের দাপুটে মুখপাত্র হারতে পারেন একথা কল্পনা করতে পারিননি হরিয়ানার কংগ্রেস প্রধানও। অনেকেই দাবি করেছেন মুখপাত্রের পদ সামলাতে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নিজের কেন্দ্র কৈথালে মন দেননি সুরজেওয়ালা। এই অবহেলাই তাঁকে কৈথালের ভোটারদের থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
খুব অল্প বয়সেই কংগ্রেসে নেতা হিসেবে উত্থান হয়েছিল রণদীপ সরজেওয়ালা। রাহুল গান্ধীর পছন্দের ব্যক্তি ছিলেন তিনি। সুবক্তা হিসেবে দলে বেশ নাম-ডাকও রয়েছে। সেই সুবাদেই দলের মুখপাত্রের পদে আসা। কিন্তু দলে উচ্চ পদ সামলাতে গিয়ে গড় হারাতে হল সুরজেওয়ালাকে।