সাভারকার জাতীয় আইকন,সামরিক কৌশলবিদ! ব্রিটিশদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনায় গান্ধীকে জড়ালেন রাজনাথ
সাভারকার জাতীয় আইকন! ব্রিটিশদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনায় গান্ধীকে জড়ালেন রাজনাথ
বীর সাভারকার গেরুয়া শিবিরের কাছে কট্টর জাতীয়তাবাদী ছিলেন আগে থেকেই। এবার তাঁকে সামরিক কৌশলবিদ হিসেবে বর্ণনা করলেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেছেন, বিংশ শতকের প্রথম সামরিক কৌশলবিদ ছিলেন সাভারকার। রাজনাথ সিং-এর দাবি, মহাত্মা গান্ধীর অনুরোধের ব্রিটিশদের কাছে তিনি ক্ষমার আবেদন করেছিলেন। তাঁর আরও দাবি মার্কসাবদী এবং লেনিনবাজীরা তাঁকে ভুলভাবে ফ্যাসিবাদী বলে অভিযুক্ত করেন।
সাভারকার জাতীয় আইকন
সাভারকারের
ওপরে
একটি
বইপ্রকাশের
অনুষ্ঠানে
যোগ
দিয়ে
রাজনাথ
সিং
তাঁকে
জাতীয়
আইকন
হিসেবে
বর্ণনা
করেছেন।
পাশাপাশি
তিনি
দাবি
করেছেন,
দেশের
জন্য
শক্তিশালী
প্রতিরক্ষা
এবং
কূটনৈতিক
মত
দিয়েছিলেন
সাভারকার।
রাজনাথ
বলেছেন,
ভারতীয়
ইতিহাসের
আইকন
ছিলেন
সাভারকার
এবং
তাই
থেকে
যাবেন।
তাঁকে
নিয়ে
ভিন্ন
মতবাদ
থাকতেই
পারে।
তবে
তাঁকে
নিয়ে
নিকৃষ্ট
কিছু
মনে
করা
ন্যায্য
এবং
যথাযথ
নয়
বলেও
মন্তব্য
করেছেন
তিনি।
সাভারকারকে
স্বাধীনতা
সংগ্রামী
এবং
কট্টর
জাতীয়তাবাদী
বলে
বর্ণনা
করেছেন
রাজনাথ।
তিনি
আরও
বলেছেন,
সাভারকারের
প্রতি
ঘৃনার
কোনও
মানে
নেই।
স্বাধীনতার জন্য জেলে গিয়েছেন দুবার
সাভারকার স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন বলে দাবি করে, রাজনাথ সিং বলেছেন, স্বাধীনতার প্রতি তাঁর দায়বন্ধতা ছিল খুবই বেশি। যে কারণে ব্রিটিশরা তাঁকে দু-দুবার জেলে পাঠিয়েছিল।
মহাত্মা গান্ধীর নির্দেশেই ক্ষমার আবেদন
দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, সাভারকারকে নিয়ে মিথ্যা প্রচার করা হয় বারবার। এটাও বলা হয়, জেল থেকে মুক্ত হতে তিনি একাধিক ক্ষমার আবেদন করেছিলেন ব্রিটিদের কাছে। রাজনাথ দাবি করেন. মহাত্মা গান্ধীই তাঁকে ক্ষমার জন্য আবেদন করতে বলেছিলেন।
সাভারকারের দৃষ্টিভঙ্গী
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রশ্নে সাভারকারের দৃষ্টিভঙ্গী প্রসঙ্গে রাজনাথ বলেন, সাভারকার বলেছিলেন, দেশের নিরাপত্তা এবং স্বার্থের পক্ষে অনুকূল হলেই সেই দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। রাজনাথের ভাষায়, সাভারকার ছিলেন বিংশ শতাব্দীতে ভারতের প্রথম সামরিক-কৌশলগত বিশেষজ্ঞ। যিনি দেশের জন্য একটি শক্তিশালী এবং কূটনৈতিক মত দিয়েছিলেন।
রাজনাথ সিং বলেন, সাভারকারের জন্যই হিন্দুত্ব সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাঁর (সাভারকার) কাছে হিন্দু শব্দটি কোনও ধর্মের সঙ্গে যুক্ত নয়, এটি দেশের ভৌগলিক এবং রাজনৈতিক পরিচয়ের সঙ্গে যুক্ত বলেও মন্তব্য করেছেন রাজনাথ সিং। তিনি দাবি করেন, সাভারকার নাগরিকদের তাদের সংস্কৃতি এবং ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা করেননি।
সাভারকার সম্পর্কে একই মত প্রকাশ করেছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও। তিনি বলেছেন, সাভারকার বলতেন, কেন আমরা নিজেদেরকে আলাদা করব। আমার সবাই একই মাতৃভূমির সন্তান, আমরা ভাই। পুজোর জন্য সবার আদালা আলাদা পদ্ধতি রয়েছে। দেশের জন্যও সবাই একইসঙ্গে লড়াই করছে বলেও বলেছিলেন সাভারকার, বলেছেন ভাগবত। সাভারতার উর্দুতে গজল লিখেছিলেন বলেও জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান।