উল্টো সুর যোগগুরুর গলায়, এবার করোনা টিকা নেবেন স্বয়ং রামদেব
করোনা টিকা নেবেন স্বয়ং রামদেব
অবশেষে যোগগুরু রামদেবও কোভিড–১৯ টিকাকরণ নিতে চলেছেন। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন যে যোগা ও আয়ুর্বেদ তাঁকে এই মারণ সংক্রমণ থেকে এখনও পর্যন্ত রক্ষা করে চলেছে। তবে বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়েছেন যে খুব শীঘ্রই তিনি তাঁর প্রথম ডোজ নেবেন।
করোনা ডোজ নেওয়ার আর্জি
জনটিভির পক্ষ থেকে একটি ভিডিও টুইট করা হয়, যেখানে রামদেবকে বলতে শোনা গিয়েছে যে প্রত্যেকের উচিত ভ্যাকসিনের ২টি করে ডোজ নিয়ে নেওয়া এবং এর সঙ্গে যোগব্যায়াম ও আয়ুর্বেদের অভ্যাস বজায় রাখা, এগুলি এই সংক্রমণ থেকে শরীরকে ঢাল হিসাবে রক্ষা করবে। রামদেব এও বলেন, 'কোভিড-১৯ থেকে হওয়া মৃত্যু থেকেও সুরক্ষিত রাখবে।'
যোগব্যায়াম ও আয়ুর্বেদে সারে রোগ
কিছুদিন আগেই রামদেব আধুনিক ওষুধ ও অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে চিকিৎসক মহলের রোষের মুখে পড়েছিলেন। সেই রামদেবকেই ভিডিওতে বলতে শোনা গিয়েছে যে জরুরি চিকিৎসায় ও অস্ত্রোপচারে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা যে সেরা তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। চিকিৎসকরা প্রকৃত অর্থেই পৃথিবীতে ঈশ্বর প্রেরিত দূত। রামদেব দাবি করেছিলেন, 'আয়ুর্বেদ কোনও তর্কের বিষয় নয়, জীবনের ঝুঁকি রয়েছে যে সব রোগে, নিরাময় হওয়ার নয় এমন রোগও যোগাভ্যাসের তালিকায় থাকা প্রাচীন অভ্যাসে তা সেরে যায়।' রামদেব জানিয়েছিলেন যে তিনি আধুনিক ওষুধের বিপক্ষে নয় শুধুমাত্র তিনি ওষুধ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। রামদেব বলেন, 'আমরা চাই সাধারণ মানুষ অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ও অস্ত্রোপচার করা থেকে সতর্ক থাকুক।'
আইএমএর কাছে সমালোচিত
যোগগুরুর অ্যালোপ্যাথি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য আইএমএর কাছে তীব্রভাবে সমালোচিত হন এবং আইএমএ জানান যে এই করোনা মহামারি সঙ্কটে স্বাস্থ্যকর্মীরা যে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন রামদেব তাঁদের অসম্মান করেছেন এবং আইএমএ এও জানায় যে বিশ্বের কাছে আশীর্বাদ হলেন এই চিকিৎসকরা। রামদেবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রের কাছে চিঠি দেয় চিকিৎসকরা। এরপর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের তরফে রামদেবকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে রামদেবের ওই মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। যার পাল্টা চিঠিতে রামদেব জানিয়েছিলেন যে, আ্যালোপ্যাথি নিয়ে করা নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার করছেন তিনি।
করোনীল নিয়ে মিথ্যা দাবি
তবে এটা প্রথমবার নয়, এর আগেও রামদেব তাঁর পতঞ্জলী সংস্থায় তৈরি করোনার ওষুধ করোনীল নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি করোনীল উদ্বোধনের সময় জানিয়ে ছিলেন যে এই ওষুধ কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক অনুমোদিত ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকেও এই ওষুধকে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। এই ওষুধের ফলে সাতদিনের মধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠবেন রোগীরা। যদিও হু-এর পক্ষ থেকে রামদেবের এই দাবিকে পুরোপুরি খারিজ করে দেওয়া হয়।