
গো-রক্ষায় বন্দুক উঁচিয়ে ভয় দেখানোর ভিডিও শেয়ার করে বিতর্কে জামিয়া মিলিয়ার কাণ্ডের সেই রামভক্ত
আবারও আলোচনার কেন্দ্রে। সেই রামভক্ত , যে ব্যক্তি দিল্লির জামিয়া এলাকায় সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালিয়েছিল। এবার বন্দুক নিয়ে শিশু এবং আরও অন্যান্যদের ভয় দেখানো এবং অত্যাচার করতে দেখা গিয়েছে। দুটি ভিডিও সে আপলোড করে যেখানে সে লিখেছে যে গো রক্ষা দল এভাবেই কাজ করছে অর্থাৎ মুলসিম ধর্মাবলম্বীদের তাঁরা এইভাবে দমন করবে বলে বার্তা দিতে চেয়েছে।

রামভক্ত গোপাল ভক্ত তার প্রোফাইল থেকে ইনস্টাগ্রামে আপলোড করে দুটি ভিডিও। সেগুলির একটিতে দেখা গিয়েছে যে লাঠি হাতে কয়েকজন গুণ্ডাকে এক যুবককে অপহরণ করতে। ভিডিওটির ক্যাপশন ছিল "গরু পাচারকারীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে"। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যুবককে টেনে হিঁচড়ে জোর করে একটি এসইউভিতে তুলে দেওয়া হচ্ছে যার লাইসেন্স প্লেট 'HR 70D 4177'।
দ্বিতীয় ভিডিওতে, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে থাকা ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে চলার সময় একটি বন্দুক মানুষের দিকে তাক করা হয়েছে। বন্দুকটি শিশু এবং মহিলাদের দিকেও তাক করা হচ্ছে। ভিডিওটির সাথে একটি লেখা রয়েছে-গৌরক্ষা দল, মেওয়াত রোড, হরিয়ানা। তবে ভিডিও ক্লিপগুলিতে গোপাল ছিল কিনা তা জানা যায়নি। এই প্রোফাইলটি পরে মুছে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে। ভিডিওটির "অসামাজিক বিষয়বস্তু" নিয়ে হরিয়ানা পুলিশের ডিজির কাছে একটি অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং যে ব্যক্তি এটি আপলোড করেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করা হয়েছে।
রামভক্ত গোপাল ২০২০ সালে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি ছোঁড়ার পরে সংবাদে ছিলেন। তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। একটি বন্দুক উঁচিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে গুলি চালানোর আগে তিনি 'কে আজাদি চায়' বলে চিৎকার করেছিলেন বলে অভিযোগ। "কিসকো চাহিয়ে আজাদি? ম্যায় দুঙ্গা আজাদি অর্থাৎ কে স্বাধীনতা চাই? আমি স্বাধীনতা দেব," এই কথা নাগাড়ে বলছিলেন রামভক্ত।
গুরুগ্রামের একটি মহাপঞ্চায়েতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার জন্য ১২ জুলাই গ্রেপ্তার, গোপাল শর্মাকে সোমবার হরিয়ানার একটি আদালত জামিন দেয়। শর্মা নিজেকে রাম ভক্ত গোপাল হিসাবে উল্লেখ করতেন, ৩০ জানুয়ারী, ২০২০-তে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার কাছে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালানোর জন্য কুখ্যাত হয়ে ওঠেন। বর্তমান ক্ষেত্রে, দীনেশ, একজন বাসিন্দা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
১১ জুলাই নথিভুক্ত এফআইআর অনুসারে, গোপালের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান পিনাল কোডের-এর ধারা 153A (ধর্ম, জাতি, জন্মস্থান, বাসস্থানের ভিত্তিতে শত্রুতা প্রচার করা) এবং 295A (ইচ্ছাকৃত এবং দূষিত কাজ, ধর্মীয় অনুভূতি ক্ষুব্ধ করার উদ্দেশ্যে) এর অধীনে মামলা করা হয়েছিল। ১৬ জুলাই, বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাগীর তাকে জামিন অস্বীকার করেছিলেন, উল্লেখ করে যে অভিযুক্তের বক্তৃতা "নিজেই এক প্রকার সহিংসতা" যা "কোনও সভ্য সমাজে সহ্য করা যায় না"। যাইহোক, অতিরিক্ত দায়রা জজ ডি এন ভরদ্বাজ জামিন মঞ্জুর করেন গোপালের আইনজীবী সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের উল্লেখ করার জন্য যে মামলায় গ্রেপ্তারের পরে শীঘ্রই জামিন দেওয়া যেতে পারে যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর পর্যন্ত।