রাম মন্দির ট্রাস্ট জমি কেলেঙ্কারি, পোস্ট ফেসবুকে, অভিযোগ দায়ের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে
রাম মন্দির ট্রাস্ট জমি কেলেঙ্কারি, পোস্ট ফেসবুকে, অভিযোগ দায়ের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে
অযোধ্যা মন্দিরের জমি দুর্নীতি কাণ্ডের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এক সাংবাদিক ও আরও ২ জনের বিরুদ্ধে ১৮টি ধারার তালিকা করে মামলা দায়ের করেছে। সাংবাদিক সহ দু’জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) নেতা ও রাম মন্দির ট্রাস্টের সচিব চম্পত রাইয়ের ভাই। অযেধ্যায় এই বিতর্কিত জমির চুক্তি নিয়ে চম্পত রাইকে বহুবার প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
তদন্ত চলছে
তবে বিজনোর পুলিশ প্রধান ইতিমধ্যে তাঁদের তদন্তের ভিত্তিতে চম্পত রাই ও তাঁর ভাইকে 'ক্লিনচিট' দিয়েছেন এবং তিনি জানিয়েছেন যে এ বিষয়ে তদন্ত এখনও চলছে। চম্পত রাইয়ের ভাই সঞ্জয় বনসলের এফআইআরে নাম রয়েছে সাংবাদিক বিনীত নারেন ও অলকা লাহোতি ও রজনীষ নামে আরও দু'জনের। এই তিনজনের বিরুদ্ধে ভিএইচপি নেতার ওপর মিথ্যা অভিযোগ করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে এবং এটা করার জন্য দেশের কোটি কোটি হিন্দুর ভাবাবেগে আঘাত করেছেন তাঁরা।
জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট
তিনদিন আগে একটি ফেসবুক পোস্টে বিনীত নারেন অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে চম্পত রাই তাঁর ভাইকে নিজের শহর বিজনোরে একটি জমি দখল করতে সাহায্য করেন। ওই পোস্টে, সাংবাদিক নারেন তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন যে চম্পত রাই তাঁর ভাইদের প্রবাসী অলকা লাহোতির (যাঁর নাম এফআইআরে রয়েছে) এক গোশালার ২০ হাজার বর্গমিটার জমি দখল করতে সহায়তা করেছিলেন। ওই পোস্টে এও দাবি করা হয় যে অলোকা লাহোতি ২০১৮ সাল থেকে দখলকারাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছেন এবং যোগী আদিত্যনাথকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতেও বলেছিলেন।
সঞ্জয় বনসলের অভিযোগ
অন্যদিকে, চম্পত রাইয়ের ভাই সঞ্জয় বনসল তাঁর অভিযোগে জানান যে তিনি নারেনের ফোন নম্বর জোগাড় করে তাঁকে ফোন করে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট করে বলার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগে বলা হয়েছে, 'যদিও রজনীশ নামে এক ব্যক্তি ফোন তোলেন এবং আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ও আমায় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন।' এফআইআরে অন্যান্য অভিযোগের মধ্যে ধর্মের ভিত্তিতে শত্রুতা, ভুয়ো প্রমাণ দেওয়া, প্রতারণা ও অপরাধের চার্জও রয়েছে।
ক্লিনচিট ভিএইচপি নেতাকে
এফআইআর দায়েরের একদিন সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই বিজনোর পুলিশ প্রধান টুইটারে ভিডিও বিবৃতি দিয়ে সঞ্জয় বনসলের পক্ষে দাঁড়ান। যদিও তিনি এও জানিয়েছেন যে তদন্ত চলছে এ বিষয়ে। বিজনোর পুলিশ প্রধান ডঃ ধর্ম বীর সিং বিবৃতিতে বলেন, 'স্থানীয় পুলিশ তদন্ত করছে। চম্পত রাই ভিএইচপির শীর্ষ নেতা এবং রাম মন্দির ট্রাস্টের সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন। আমরা সবদিক খতিয়ে দেখেছি।'