মুসলিমদের কবরস্থানের উপর কি রাম মন্দিরের নির্মাণ হবে? বিস্ফোরক দাবি নিয়ে কোন চিঠি বাসিন্দাদের
৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরপরই অযোধ্যায় শুরু হয়ে যায় রাম মন্দির নির্মাণ। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ঘিরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রসঙ্গ উঠে আসলেও, সরকারের ঘোষণা মতো, এবার অযোধ্যা তৈরি হচ্ছে রামমন্দিরের জন্য। তবে এমন পরিস্থিতিতে একটি চিঠিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।
বিস্ফোরক চিঠি ঘিরে চাঞ্চল্য
রামজন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্রে ঘিরে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রস্তুতি ও নির্মাণের পদক্ষেপ গৃহিত হয়েছে। সরকার কর্তৃক তৈরি হয়েছে রাম মন্দির ট্রাস্ট। আর সেই ট্রাস্টের হাতে পাওয়া একটি চিঠিই গোা পরিস্থিতিতে চাঞ্চল্য উস্কে দিয়েছে। অযোধ্যার স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার দাবি, ১৮৫৫ সালে ওই বাবরি মসজিদ এলাকায় ছিল মুসলিমদের কবরস্থল। আর চিঠিতে স্থানীয়দের প্রশ্ন, কবরস্থানে কি রাম মন্দির নির্মিত করা হবে?
৪-৫ একর নিয়ে জটিলতা
স্থানীয়ের দাবি, ওই এলাকায় ৪ থেকে ৫ একর জমি ছিল মুসলিম কবরস্থল। আর সেখানে যাতে রাম মন্দির তৈরি না হয়, তার জন্য আবেদন করা হয়েছে, ওই চিঠিতে। এই চিঠি তাঁরা সোজাসুজি পাঠিয়েছেন রাম মন্দির ট্রাস্টের কাছে।
বিস্ফোরক চিঠিতে আর কোন তথ্য?
স্থানীয়দের তরফের আইনজীবী এমআর শমশাদের দাবি, ১৮৫৫ সালের দাঙ্গায় ওই এলাকায় ৭৫ জন মুসলিমের হত্যা হয়। আর এই ৪ থেকে ৫ একর জমিতে সেই মুসলিমদের অন্ত্যেষ্টীপর্ব সম্পন্ন হয়। এমন কবরস্থানে মন্দির নির্মাণ ঘিরে যেমন প্রশ্ন উঠছে, তেমনই আইনজীবীর দাবি, যে জায়গায় মুসলিমদের কবরস্থল সেটিতে অধিকারও মুসলিমদের। ফলে রাম মন্দিরের এলাকারা মালিকানা ঘিরেও তাঁরা চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন।
সুপ্রিম কোর্ট কী বলছে?
এদিকে, ১৯৯৪ সালের ইসমাইল ফারুকি মামলায় সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছে, মসজিদ বনাম রাম মন্দির মামলায় মূল জটিলতা ১৪৮০ স্কোয়ারফিট ঘিরে। যা সুপ্রিমকোর্ট নিষ্পত্তি করেছে ২০১৯ সালে। এদিকে, বাবরি মসজিদের চারপাশে যে কবরস্থান রয়েছে, তার সপক্ষেও একাধিক যুক্তি দিয়েছেন স্থানীয়দের তরফের আইনজীবী।