ইসরোর রকেটে অযোধ্যার রামের তীরকে দেখলেন এই মুখ্যমন্ত্রী
রাম ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার, আর রামের তীর-ধনুক ইসরোর রকেটের সঙ্গে তুলনীয়। 'রাম সেতু' তৈরিতে তার প্রযুক্তিগত দক্ষতা দেখিয়েছিলেন রাম। আহমেদাবাদের এক অনুষ্ঠানে এমনটাই বললেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি
রাম
ছিলেন
ইঞ্জিনিয়ার।
আর
রামের
তীর-ধনুক
ইসরোর
রকেটের
সঙ্গে
তুলনীয়।
আহমেদাবাদের
মনিনগরে
ইনস্টিটিউট
অফ
ইনফ্রাস্ট্রাকচার
টেকনোলজি
রিসার্চ
অ্যান্ড
ম্য়ানেজমেন্টের
প্রথম
কনভোকেশনে
গিয়ে
এমনটাই
বললেন
গুজরাতের
মুখ্যমন্ত্রী
বিজয়
রূপানি।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে 'রাম সেতু' তৈরিতে তার প্রযুক্তিগত দক্ষতা দেখিয়েছিলেন রাম। ভগবান রামের পরিকাঠামোগত দক্ষতাও ছিল বলে মন্তব্য করেছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি কাঠবেড়ালিও এই সেতু নির্মানে সাহায্য করেছিল। এই তুলনা টানতে গিয়ে তাঁর আরও মন্তব্য, রামের প্রত্যেকটি তীরই ছিল রকেট। আর আজ সেই কাজটাই করছে ইসরো। এক্ষেত্রে ইসরোর রকেট উৎক্ষেপনকেই বোঝাতে চেয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান স্পেশ রিসার্চ অর্গানাইজেশনের স্পেশ অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর তপন মিশ্রও হাজির ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। ইনস্টিটিউট অফ ইনফ্রাস্ট্রাকচার টেকনোলজি রিসার্চ অ্যান্ড ম্য়ানেজমেন্ট গুজরাতের একটি স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুষ্ঠানে গুজরাতের এই নেতা পৌরাণিক যুগের সঙ্গে বর্তমান যুগের আরও বেশ কিছু উদাহরণ টেনেছেন। লক্ষ্মণকে সুস্থ করতে সঠিক গাছ খুঁজে না পেয়ে, পুরো পর্বতটাই তুলে নিয়ে যায় হনুমান। এই পৌরাণিক কাহিনিকেও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে তুলনা করেছেন গুজরাতের মুখ্য়মন্ত্রী বিজয় রূপানি।
শুধু অস্ত্র আর পরিকাঠামোর উন্নয়নই ভগবান রাম করেননি, তিনি সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-ও অংশ নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। ভগবান রাম সমাজের সব অংশের মানুষকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করতেন। সুগ্রিব, হনুমান এবং বানরসেনা নিয়ে বাহিনীকে ভগবান রামচন্দ্রের সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অংশ বলে মন্তব্য করেছেন গুজরাটের মুখ্য়মন্ত্রী।