খাদ্যাভ্যাসের উপরেও গেরুয়া ফ্যাসিজম , প্রতিবাদে আইসা
খাদ্যআভ্যাসের উপরেও গেরুয়া ফ্যাসিজম , প্রতিবাদে আইসা
খাদ্য নিয়েও গেরুয়া ছাত্র সংগঠনের ফ্যাসিজম চালু করেছে। জোর করে মানুষকে নিরামিষ খাওয়ানোর পরিকল্পনা করেছে তারা। আর তা না করলে হচ্ছে অত্যাচার। মারধোর করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলে এবিভিপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হল বাম ছাত্র সংগঠন আইসা। রাম নবমীকে কেন্দ্রকে বাম ও এবিভিপি ছাত্র সংগঠনের মধ্যে তুলকালাম বেঁধে যায় জেএনইউ'তে।
আইসার দাবি এবিভিপি বাম ছাত্র সংগঠনের উপর ইচ্ছাকৃত হামলা চালায়। হোস্টেলে ঢুকে মারধোর করে, কারণ বাম সংগঠনের ছাত্ররা ওই দিন আমিষ খাবার খাচ্ছিলেন। তা খেতে বাধা দেওয়া হয়। তাদের কথা না মানতে চাওয়ায় বেধরক মারধোর করা হয় তাদের ছাত্র নেতাদের উপর। এনিয়েই প্রতিবাদ করল আইসা।
রাম পুজো নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছে বামেরা অভিযোগ জেএনইউ এবিভিপি'র
তারা বলছে এবিভিপি দেশে খাদ্যের উপরেও ফ্যাসিজম চালানোর চেষ্টা করছে। বল পূর্বক সব কিছু করানোর চেষ্টা করছে, এরই প্রতিবাদ করছে তারা। এই প্রসঙ্গে কলকাতা এবিভিপি সংগঠনের পক্ষে তৃয়াশা লাহিড়ী বলেন , "সোমবার রাম নবমীতে জেএনইউয়ের গুরুতরভাবে বাম ছাত্র সংগঠনের ছাত্ররা আহত হয়েছে। এবিভিপি জোর করে কাবেরী হোস্টেলে আমিষ রান্না বন্ধ করে দেয়। তাতে বাধা দিলে ব্যাপক মারধোর করা হয়। ওদের এই খাবারের উপরেও ফ্যাসিস্ট মনোভাব প্রদর্শনের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। এটা গুন্ডামি"
আইসা জানিয়েছে , 'রাম নবমীর সকাল থেকে, এবিভিপি গুন্ডারা জেএনইউ হোস্টেল কাবেরীতে জোর করে মুরগির মাংস রান্না বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। এটি জেএনইউতে রবিবারের হোস্টেল মেসের সময়সূচীর একটি অংশ। জেএনইউতে যারা আমিষ খায় তাদের জন্য মুরগির মাংস এবং নিরামিষ যারা খায় তাদের জন্য পনির পরিবেশন করা হয়। ওরা এই প্রথা জোর করে বন্ধ করার চেষ্টা করে। বাধা দিতেই মারধোর করা হয়।'
আইসা জনিয়েছে , 'জেএনইউ একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায়, সারা দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ছাত্ররা এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমন্বয়মূলক সংস্কৃতির একটি অংশ যেখানে শিক্ষার্থীরা একই মেসে তাদের পছন্দের খাবার খায়। দুই বছরের ব্যবধানে যখন ক্যাম্পাস খোলা হয়, এবং শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাস জীবনযাপন করতে শুরু করে, তখন এবিভিপি তাদের গুন্ডাদের নিয়ে ছাত্রদের উপর হামলা করতে নেমে আসে।'
বাম ছাত্র সংগঠন জানিয়েছে , 'জেএনইউর কাবেরী হোস্টেল মেসে যখন রাতের খাবারের প্রস্তুতি শুরু হয়, তখন এবিভিপি গুণ্ডারা মুরগির রান্না বন্ধ করতে দেখা যায়। সারা ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্ররা এবিভিপি-এর নেতৃত্বে ওই খাদ্য ফ্যাসিবাদকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল। ক্ষমতার নেশায় মত্ত, রবি কুমার, প্রফুল্ল, বিজয় ও রাজের মতো এবিভিপি'র গুন্ডারা ছাত্র ও কর্মীদের উপর হিংস্রভাবে হামলা চালায়।কমরেড আখতারিস্তা আনসারি, মধুরিমা কুন্ডু এবং আইসার-এর এন সাই বালাজি গুরুতর আহত হয়েছেন৷ কমরেড আখতারিসরার মাথায় প্রচণ্ড ক্ষত রয়েছে।'
আইসা বলছে , 'পছন্দের খাবার খাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। এটি ভারতের সংজ্ঞার একটি অংশ যেখানে প্রত্যেকেরই তাদের পছন্দের খাবার খাওয়ার অধিকার রয়েছে। এবিভিপি-র কিছু গুন্ডা কি নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারকে ব্যাহত করার অধিকার রাখে?'