আসারাম বাপু থেকে রাজীব হত্যকারীদের হয়ে দাঁড়ানো, বহু বিতর্কিত মামলা লড়েছিলেন জেঠমালানি
দেশের সবচেয়ে প্রবীণ এবং সবচেয়ে দক্ষ আইনজীবী হিসেবে তাঁর নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে। রবিবার সকালে নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি।
দেশের সবচেয়ে প্রবীণ এবং অন্যতম দক্ষ আইনজীবী হিসেবে তাঁর নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে। রবিবার সকালে নিজ বাসভবনে প্রয়াত হন রাম জেঠমালানি। জীবনের সাত দশক ধরে কাজ করেছেন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে কাজ করে গিয়েছেন। একাধিক বিকর্তিক মামলা লড়ার জন্য তাঁকে সমালোচিতও হতে হয়েছিল। এখনও অনেকেই বিশ্বাস করতে চাননা এমন একজন দুঁদে আইনজীবী আসারাম বাপুর হয়ে মামলা লড়েছিলেন।
আসারাম বাপুর হয়ে মামলা লড়েছিলেন জেঠমালানি
এই মামলা লড়ার জন্য কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি তাঁকে। ধর্ষণে অভিযুক্ত আসারাম বাপুর হয়ে কেন মামলা লড়ছেন এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, আমি একটু অন্য ধরনের আইনজীবী। আমি মামলা লড়ে কোটি টাকা রোজগার করি। তবে সেটা মাত্র ১০ শতাংশ মক্কেলের ক্ষেত্রেই করে থাকি। আসারাম বাবু সেরকমই একজন মক্কেল।
একাধিক বিতর্কিত মামলা লড়েছেন জেঠমালানি
রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের মামলায় দোষীদের হয়ে মামলা লড়েছিলেন তিনি। এছাড়াও স্টক মার্কেট কেলেঙ্কারি মামলায় হর্ষ মেহতার মামলা। হাওলাকাণ্ডে এলকে আদবানীর হয়ে এবং সোহরাবউদ্দিন মামলায় অমিত শাহের হয়েও মামলা লড়েছিলেন তিনি। এছাড়াও টু জি দুর্নীতিকাণ্ডে কানিমোঝির হয়ে। আয়বহির্ভুত সম্পত্তি মামলায় জয়ললিতার মামলাও তিনিই লড়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে জেসিকা লাল হত্যা মামলায় মনু শর্মার হয়ে মামলা লড়েছিলেন জেঠমালানি।
বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভায় সাংসদ হয়েছিলেন
বিজেপির সঙ্গে বরাবরই একটু ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল জেঠমালানির। সেকারণেই এক সময় বিজেপির টিকিটে লড়েই রাজ্যসভার সাংসদ পদে বসেছিলেন দেশের এই প্রবীণ আইনজীবী। এমনকী একটা সময় আইনমন্ত্রীরও পদ সামলেছেন তিনি।
তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। দেশের ফৌজদারি আইনের মান্যতা একটি উচ্চ স্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন জেঠমালানি। তাঁর অবদান ভোলার নয় একথা একযোগে জানিয়েছেন সব রাজনৈতিক দলেন নেতারাই।