অবশেষে সিবিআইযের থেকে ক্লিনচিট পেলেন রাকেশ আস্থানা
অবশেষে সিবিআইযের থেকে ক্লিনচিট পেলেন রাকেশ আস্থানা
সিবিআই অবশেষে ক্লিনচিট দিল সিবিআইয়ের প্রাক্তন বিশেষ ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা ও ডিএসপি দেবেন্দ্র কুমারকে। প্রাক্তন সিবিআই প্রধান অলোক বর্মা ২০১৮ সালে এই দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন।
রাকেশ আস্থানাকে ক্লিনচিট
হায়দরাবাদের এক ব্যবসায়ী সতীশ বাবু সানার অভিযোগের ভিত্তিতে রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি ও ফৌজদারি ব্যাভিচার দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের আওতায় দায়ের করা হয়। যদিও আস্থানা জানিয়েছিলেন যে অলোক বর্মার নির্দেশেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। তদন্তকারি সংস্থা জানিয়েছে যে বিতর্কিত মাংস রপ্তানিকারক মইন কুরেশির সঙ্গে সম্পর্কিত অর্থ পাচার মামলায় অভিযোগকারী সতীশ সানা বাবুকে বাঁচাতে আস্থানা কখনও ঘুষ দাবি করেছিলেন বা কোনও ঘুষ নিয়েছেন বলে প্রমাণিত হয়নি। সিবিআই এটাও প্রমাণ করতে পারেননি যে আস্থানা ও ধৃত মনোজ প্রসাদের মধ্যে কোনও যোগাযোগ রয়েছে। সিবিআইয়ের চার্জশিটে বলা হয়েছে যে দুবাইয়ের বেসরকারি ব্যক্তি মনোজ প্রসাদের সঙ্গে অভিযোগকারী সতীশ সানা বাবুর ফোনে কথাবার্তা হয়েছে। এতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে সতীশ সানা বাবু ও মনোজ প্রসাদের মধ্যে যে কথাবার্তা হয়েছে তাতে কোনও সরকারি কর্মীর কোনও ভূমিকা নেই।
র–প্রধানকেও যুক্ত করা হয়
২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর অলোক বর্মা তাঁর এফআইআরে বর্তমান র প্রধান সমন্ত গোয়েলের নামও উল্লেখ করেছিলেন। সিবিআই সব সরকারি উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদেরই ক্লিনচিট দিয়েছে। সিবিআই ডিরেক্টর ঋষি কুমার শুক্লা তদন্তকারী অফিসার সতীশ দাগার ও অন্য চার আধিকারিকের সঙ্গে একমত হয়ে জানিয়েছেন যে রাকেশ আস্থানা সহ সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আর কোনও মামলা নেই।
ঘটনার সূত্রপাত
অলোক বর্মার এফআইআরে বলা হয়েছিল সানা দাবি করেছিল যে মনোজ প্রসাদ তাকে বলেছিল যে তার সিবিআইয়ে ভালো যোগাযোগ রয়েছে এবং তার ভাই সোমেশ তাকে এই মামলা থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য সহায়তা করবে। সানা এরপর আরও দাবি করেছিল যে সে যখন দুবাইয়ে সোমেশের সঙ্গে দেখা করে, সোমেশ তখন তাকে বলেছিল যে আস্থানা অবশ্যই এই কাজটা করবে কারণ সে বেশ কিছু বছর ধরে দুবাই ও লন্ডনে অফিসারদের বিনিয়োগের দিকটা দেখাশোনা করে। ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছিল যে সে আস্থানার ছবি দেখে সোমেশের হোয়াটস অ্যাপে এবং প্রথম খাতে এক কোটি টাকা মনোজকে দুবাইতে দেওয়া হয় এবং দ্বিতীয় ভাগে ১.৯৫ কোটি টাকা দিল্লির রাইসিনা রোডে প্রেস ক্লাবের পার্কিং এলাকায় মনোজের চেনা সুনীল মিত্তলের হাতে দেওয়া হয়। এরপর সানা আরও অর্থ দেয় বলে দাবি করে। ওই অর্থ আস্থানার কাছে গিয়েছে বলেও অভিযোগ করে সে। যদিও এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাকেশ আস্থানা।