বিজেপি ১১ টির মধ্যে ৯টি আসনে জয় ছিনিয়ে নিল রাজ্যসভায়! সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্কে কিছু পরিসংখ্যান একনজরে
ক্রমেই রাজ্যসভায় নিজের মাটি শক্ত করছে বিজেপি। সংসদের উচ্চকক্ষে ক্রমাগত নিজের দাপট বাড়িয়ে চলেছে তারা, অন্তত সোমবার রাজ্যসভার আসনে ভোটাভুটির পর সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক আরও স্পষ্ট হল। রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার লক্ষ্য়ে বিজেপির অবস্থান ও পরিসংখ্যানের পাশাপাশি দেখে নেওয়া যাক বিরোধী শিবিরের তথ্য।
রাজ্যসভায় প্রবলভাবে কোণঠাসা কংগ্রেস
সোমবার ১১ টি আসনের লড়াইয়ে বিজেপি ৯ টি আসন জিতে রাজ্যসভায় ৯২ টি আসন দখলে রেখেছে। যেখানে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কমতির দিকে গিয়ে প্রবল হারে নামছে। কংগ্রেস এবার প্রথমবার ৪০ এ এসে ঠেকল রাজ্যসভার আসনের নিরিখে। যা নিঃসন্দেহে বিজেপির সামেন জমি দখলের ইঙ্গিত।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের থেকে কত অঙ্কে পিছিয়ে বিজেপি?
বিজেপির দখলে এই মুহূর্তে রাজ্যসভার ৯২ টি আসন। এনডিএর নিরিখে দেখতে গেলে জোটমোট ৯৮ টি আসন রাজ্যসভায় রেখেছে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দখলে ১২৩ টি আসন গেরুয়া শিবিরকে সঙ্গে রাখতে হবে। একক পার্টি হিসাবে বিজেপি তার থেকে ৩১ টি কমতিতে রয়েছে । ফলে বিজেপি এবার একার দৌলতে কতটা দখলে রাখতে পারে রাজ্যসভা সেদিকে নজর সকলের।
রাজ্যসভার আরও একটি আসন ও বিজেপির সুযোগ
এদিকে, কর্ণাটকের সাংসদ বিজেপির অশোক গাস্তির মৃত্যুর পর সেখানের আসনটি ফাঁকা। এদিকে, কর্ণাটকে বিজেপির সরকার রয়েছে। ফলে ওই আসনেও যে বিজেপি দখল রাখবে, তা বলাই বহুল্য। ফলে শীতকালীন অধিবেশনের আগে বিজেপি রাজ্যসভায় বড়সড় দাপট ধরে রাখবে।
লাভ লোকসানের অঙ্ক
রাজ্যসভায় বিহার থেকে ২ টি আসন ফাঁকা। তারমধ্যে একটিতে ছিলেন এলজেপি প্রধান রামবিলাস পাসোয়ান। আপাতত বিহারে তাঁর ছেলে এনডিএ ছাড়া লড়ছে। ফলে রাজ্যসভায় এলজেপি কী করে সেদিকে নজর থাকবে। এদিকে, বিজেপির হাত ছেড়েছে তাদের বহুকালের পুরনো সঙ্গী শিরোমনি আকালি দল। পাঞ্জাবের এই স্থানীয় দলের ৩ জন সাংসদ রাজ্যসভায় বিজেপির জোট এনডিএর হাত শক্ত করে। তবে কৃষিবিল পরবর্তী সময়ে অঙ্ক খানিকটা পাল্টেছে।
নজরে নভেম্বর ২৫, কংগ্রেস আরও কমতির দিকে
এদিকে, রাজ্যসভায় উত্তরপ্রদেশের ১০ সাংসদের সময়সীমা ২৫ নভেম্বর শেষ হবে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের পি এল পুনিয়া ও রাজ বব্বর। ফলে কংগ্রেসের জোর রাজ্য়সভায় ৪০ থেকে ৩৮ এ নেমে আসবে। এরপর বিজেপি কোন স্টান্স নেয়, সেদিকে নজর সকলের।