দিল্লি বিল পাশ রাজ্যসভায়, ফুঁসে উঠে টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ কেজরিওয়ালের
বহু চর্চিত দিল্লি বিল পাশ হয়ে গেল রাজ্যসভায় । এর আগে এই বিল লোকসভায় পাশ হয়। তবে তারপরেও বিল নিয়ে ক্রমেই কণ্ঠ চড়াতে শুরু করে বিপক্ষ দলগুলি। এই বিল সংসদে পেশের আগেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জন্য নিজের সমর্থন বার্তা পাঠান।
দিল্লি বিল
এদিকে, দিল্লির নির্বাচিত সরকার নাকি লেফ্টন্যান্ট গভর্নর, কে বেশি ক্ষমতা ধরে রাখবেন দিল্লির বুকে? এই প্রশ্নেই 'গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি' (সংস্কার) সংক্রান্ত অ্যাক্ট সংসদে পেশ হয়। যা নিয়ে দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়। মমতা সহ বহু বিজেপি বিরোধী নেতা নেত্রী এর বিরোধিতা করেন।
প্রবল বাগবিতণ্ডা
এরপর এদিন রাজ্যসভায় এই ঐতিহাসিক বিল পাশ হয়ে যায়। ততক্ষণে উত্তপ্ত রাজ্যসভা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেস থেকে আরজেডি এর বিরোধিতায় নামে। এদিকে, বিলের বিরোধিতায় নামার প্রশ্নে প্রস্তুতি নিয়ে তৈরি ছিল তৃণমূলও।
তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা
এদিকে বিলের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ জানান কংগ্রেসের সাংসদরা। যাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন মল্লিকার্জুন খার্গে। ততক্ষণে রাজ্যসভার মার্শালরা ওয়েলে নেমে আসেন। মল্লিকার্জুন খার্দে দাবি করেন যে এতে বিহারের বিধানসভার পরিস্থিতি ফের একবার উঠে আসতে চলেছে রাজ্যসভায়।
ক্ষোভে ফুঁসে কেজরিওয়ালের টুইট
এদিকে, রাজ্যসভায় এদিন এউ দিল্লি বাল পাশ হতেই ক্ষোবে ফেটে পড়েন আম আদমা পার্টির সদস্যরা। তাঁজের দাবি যে বিজেপি দিল্লির ভোটে পর পর ২ বার হেরেছে, তারাই এই বিলের হাত ধরে দিল্লি শাসন করতে চাইছে। অন্যদিকে কেজরিওয়াল জানান, এই ঘটনা ভারতীয় গণতন্ত্রের দুঃখের দিন। আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব, যাতে মানুষের হাতে মানুষের ক্ষমতা থাকে। বাধা যেমনই হোক। আমরা তা পেরিয়ে ভালো কাজ করব। আমরা থামব না, আমরা গতি কমাবো না।