বিজেপিকে টেক্কা কংগ্রেসের, রাজস্থানে কোন অঙ্কে ফয়সালা রাজ্যসভার যুযুধান লড়াই
রাজ্যসভার ভোটে বিজেপির পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে শেষ হাসি হাসল কংগ্রেস। রাজস্থানে চারটির মধ্যে কংগ্রস তিনটি আসনে জয়ী হয়। তিনটি আসনেই জয় নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না স্বাভাবিক অঙ্কে।
রাজ্যসভার ভোটে বিজেপির পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে শেষ হাসি হাসল কংগ্রেস। রাজস্থানে চারটির মধ্যে কংগ্রস তিনটি আসনে জয়ী হয়। তিনটি আসনেই জয় নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না স্বাভাবিক অঙ্কে। কিন্তু বিজেপি নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করেই গুলিয়ে দিতে চেয়েছিল জল। শেষ পর্যন্ত ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কা উড়িয়ে কংগ্রেস জয়ী হল রাজ্যসভার নির্বাচনে।
রাজ্যসভার নির্বাচনে রাজস্থানে কে কাকে টেক্কা দেবে, কে করবে বাজিমাত, তা নিয়ে উত্তেজনা ছিল চরমে। অপেক্ষার প্রহর গোনা শুরু হয়েছিল সন্ধ্যা পাঁচটা থেকেই। তারপর কংগ্রেস ও বিজেপির ক্রস ভোটিংয়ের দ্বন্দ্ব গড়ায় নির্বাচন কমিশনে। জমজমাট নাটকের অবসানে রাজস্থানে বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে কংগ্রেস দখল করে নেয় তিনটি আসন। বিজেপির দখলে যায় একটি।
শুক্রবার চার রাজ্যের মোট ১৬টি রাজ্যসভা আসনে ভোট নেওয়া হয়েছিল। রাজস্থান, হরিয়ানা, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্র রাজ্যে ভোটাভুটি হয়। আর বিজেপি রাজস্থান ও হরিয়ানায় নির্দল প্রার্থীকে বিজেপির সমর্থন করে কংগ্রেসকে ঝটকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস এবার ছিল বেশ সাবধানী। তাই রাজস্থানে মিডিয়া ব্যারন সুভাষ চন্দ্রের কপাল খুলল না। নির্দল প্রার্থী হয়ে বিজেপির সমর্থন লাভ করেও তিনি হেরে বসলেন।
তাঁর জয়-পরাজয় নির্ভর করছিল ক্রস ভোটিংয়ের উপর। রাজস্থানে বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী সুভাষ চন্দ্রকে জিততে গেলে বিপক্ষ শিবিরের ১৫টি ভোট ভাঙিয়ে আনতে হবে। তবে এমন কোনও রাজনৈতিক পরিস্থিতি হয়নি এবার। যাতে ক্রস ভোটিংয়ের জেরে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলকে ধাক্কা দিতে পারে বিজেপি। এমনকী রাজস্থানের ট্রাইবাল পার্টির ভোটও কংগ্রেস পেয়েছে।
মোট চারটি কেন্দ্রে ভোট ছিল রাজস্থানে। সেখানে মোট প্রার্থী ছিলেন পাঁচ জন। কংগ্রেসের তিন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তাঁরা হলেন, মুকুল ওয়াজনিক, প্রমোদ কুমার, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। বিজেপির এক প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তিনি হলেন ঘনশ্যাম তিওয়ারি। বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হেরেছেন। নির্দল প্রার্থী জি মিডিয়া গোষ্ঠীর কর্ণধার হার মেনেছেন ভোটাভুটিতে।
এদিন ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর দুই কংগ্রেস বিধায়কের ভোট বাতিল করার দাবিতে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। বিজেপির দাবি, কংগ্রেসের দুই বিধায়ক দলের এজেন্ট ছাড়াও নিজের ব্যালট দেখিয়েছেন অন্যদেরও। রাজ্যসভার ভোটের নিয়ম ব্যালট পেপারে ব্যালট বক্সে ফেলার আগে তা দলের এজেন্টকে দেখাতে হয়। তব্ তা অন্য কাউকে দেখানো যাবে না। কিন্তু কংগ্রেসের দুই বিধায়ক অন্যদেরও দেখিয়েছেন ওই ব্যালট পেপার। তাই তাঁদের বোট বাতিলের দাবি তোলে বিজেপি।এই অবস্থায় বিজেপির দাবি খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনার।