এবার করোনা সংক্রমণের কোপ রাজ্যসভা নির্বাচনের উপর
সংসদের উচ্চকক্ষে ১৮টি আসনের জন্য নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২৬ মার্চ। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি ক্রমেই আশঙ্কাজনক হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ২৬ মার্চ আগের সাংসদদের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও নতুন সদস্য নির্বাচিত করা সম্ভ হচ্ছে না।
করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে দেশে
এখনও পর্যন্ত দেশের ৩২ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে যাতে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত না হয় তার জন্যেই লকডাউন করে রাখা হয়েছে। মণিপুরেও চলছে লকডাউন পরিস্থিতি। বর্তমানে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯০ ছাড়িয়েছে, এখনও পর্যন্ত ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা
জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিততে ৩১ মার্চের পর নির্বাচন কমিশন পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। বর্তমানে দেশে লকডাউন চলছে। এর জেরে ওই ভোটগ্রহণের দিন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করেই পরবর্তী দিনের ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।
যেই আসনগুলিতে নির্বাচন হওয়ার কথা
শূন্য আসনগুলির মধ্যে রয়েছে গুজরাট ও অন্ধ্রপ্রদেশের চারটি, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের তিনটি, ঝাড়খণ্ডের দুটি এবং মণিপুর ও মেঘালয়ের একটি করে আসন।
নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি
এই নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়, 'জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা জনিত অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির জেরে এই সময় যে কোনও বড় জমায়েতের সম্ভাবনা এড়ানো প্রয়োজন, না হলে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে যায়।'
জনসমাগম ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত
উল্লেখ্য, এই নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচনী আধিকারিক, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সমর্থনকারী কর্মকর্তা এবং বিধায়কদের উপস্থিত থাকতে হবে। যআর অর্থাৎ জনসমাগম। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে যখন আইসোলেশনকে বেছে নেওয়া হচ্ছে, সেখানে এই সমাগম বাঞ্ছনীয় নয়। তাই নির্বাচন কমিশন বলে, 'দেশের সাম্প্রতিক অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে এই ধরণের নির্বাচন করার জন্যে উপযুক্ত সময় এটি নয়।'