রাত পোহালেই ভোট রাজ্যসভায়, কোন অঙ্কে শেষ হাসি কার, একনজরে পরিসংখ্যান
রাত পোহালেই রাজ্যসভায় ভোট-যুদ্ধ। দুই‘হরি’-র লড়াই নিয়ে এখন উত্তেজনা তুঙ্গে। কার ভোট কোন দিকে যায়, শেষপর্যন্ত শেষ হাসি কার তা নিয়েই চর্চা দিল্লির রাজনীতিতে।
রাত পোহালেই রাজ্যসভায় ভোট-যুদ্ধ। এবার রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনে মুখোমুখি বিজেপি সমর্থিত এনডিএ প্রার্থী হরিবংশ নারায়ণ সিং ও বিরোধী জোটের কংগ্রেস প্রার্থী বি কে হরিপ্রসাদ। দুই হরির লড়াই নিয়ে এখন উত্তেজনা তুঙ্গে। কার ভোট কোন দিকে যায়, শেষপর্যন্ত শেষ হাসি কার তা নিয়েই চর্চা দিল্লির রাজনীতিতে।
রাজ্যসভার প্রাক্তন ডেপুটি চেয়ারম্যান ছিল কংগ্রেসের পি কুরিয়ান। কেরালার এই কংগ্রেসের সাংসদের ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এই অবস্থায় নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার প্রয়োজন। সাধারণত এই পদে নির্বাচন হয় না। মনোনীত হন এক সাংসদ। এবার নির্বাচনের জায়গায় চলে গিয়েছে ২৬ বছর বাদে। ১৯৯২ সালে শেষবার নির্বাচন হয়েছিল।
এখন রাজনৈতিক মহলে চর্চা কার দিকে কোন দলের সমর্থন রয়েছে। কোন দল কত ভোট পেতে পারে। সেই পর্যালোচনাতেই উঠে এসেছে যে ভোটচিত্র, তাতে পরিষ্কার যে কোনও পক্ষই ১২৩টি ভোট পেয়ে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারছে না।। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ভোটের নিয়ন্তা ওড়িশার নবীন পট্টনায়ক। তাঁর দলের সাংসদের সমর্থন যেদিকে যাবে, সেই পক্ষ শেষ হাসি হাসতে পারে। অন্যথায় নবীন পট্টনায়কের বিজেডি যদি বিরত থাকে ভোটদানে জয় পেয়ে যাবেন বিরোধীরা।
উল্লেখ্য, বিজেপির ৬৯-সহ এনডিএ-র হাতে ৯২ জন সাংসদ রয়েছে। ২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় জয়ের জন্য ১২৩টি ভোট প্রয়োজন। বিজেপি এক্ষেত্রে ভরসা করে আছে তামিলনাড়ুর এআইএডিএমকে, চন্দ্রশেখর রাওয়ের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির দিকে। রাজ্যসভায় এআইএডিএমকের সাংসদ সংখ্যা ১৩ ও টিআরএসের ৬। তাদের ভোট পেলে এনডিএ-র প্রাপ্তি দাঁড়াবে ১১১। তা থেকে আবার আকালি দল ও শিবসেনা বিরত থাকবে ভোটদানে, এমনটাই স্পষ্ট করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে এনডিএ কমে আসবে ১০৫-এ। তারপর অন্ধ্রপ্রেদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস যদি এনডিএ-কে সমর্থন করে সম্ভব নয় ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছনো।
এদিকে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ৫১। তৃণমূলের ১৩। তারপর সমাজবাদী পার্টি, টিডিপি, আরজেডি, সিপিএম, সিপিআই, এনসিপি, আপ-সহ বিরোধী দলগুলির ঐক্য যদি বজায় থাকে তবে তারা ১১৬তে পৌঁছতে পারে। অর্থাৎ তারাও ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারছে না। শিবসেনার ভোট পাওয়াপপর জন্য মরিয়া হয়েছিল বিরোধীরা। কিন্তু এনসিপি প্রার্থী দিতে অস্বীকার করায়, সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেওয়া হয়েছে। তবে তারা শাসক শিবিরেও ভোট দেবে না।
এখন পর্যন্ত বিজে়ডি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেস কোন দিকে থাকবে, তা স্পষ্ট হয়নি। এর মধ্যে বিজু জনতা দল অর্থাৎ বিজেডি যদি ভোট না গেয় তাহলেই জয় নিশ্চিত বিরোধীদেরই। তাই হঠাৎ করেই রাজ্যসভার এই ভোটে গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে নবীন পট্টনায়কের। তিনিই রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনে নিয়ন্তা হয়ে উঠতে চলেছেন।