রাজস্থানে আফরাজুল কাণ্ডে লাভ-জিহাদ নয়, চার্জশিটে সামনে এল অন্য তথ্য
পুলিশ সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দিয়েছে। সেখানে শম্ভুলালের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে, কোনও লাভ জিহাদ নয়, এক মহিলার সঙ্গে নিজের অবৈধ সম্পর্ক ধামাচাপা দিতেই শম্ভুলাল আফরাজুলকে খুন করেছে।
গতবছরের শেষে মালদহের দিনমজুর শ্রমিক বছর পঞ্চাশের মহম্মদ আফরাজুলকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত শম্ভুলাল রেগর (৩৬) নিজের কিশোর আত্মীয়কে দিয়ে তা ভিডিও করে। সেখানে সে বলে, লাভ জিহাদ করলে এই সাজাই পেতে হবে সবাইকে। এই ঘটনার ভিডিও সামনে এলে সারা দেশে শিহরণ পড়ে যায়। নৃশংস এই ঘটনার পরই শম্ভুলালকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দিয়েছে। সেখানে শম্ভুলালের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে, কোনও লাভ জিহাদ নয়, এক মহিলার সঙ্গে নিজের অবৈধ সম্পর্ক ধামাচাপা দিতেই শম্ভুলাল আফরাজুলকে খুন করেছে।
খুন করার পরে শম্ভুলাল দাবি করে ২০ বছর বয়সী এক হিন্দু বোনকে আফরাজুলের লাভ জিহাদের হাত থেকে বাঁচাতে সে খুন করেছে। যদিও ঘটনা হল, নিজের অবৈধ সম্পর্ককে ঢাকতেই সে লাভ জিহাদের প্রসঙ্গ টেনে এনেছে। পুলিশ শম্ভুলালকে খুন, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও অন্য নানা অভিযোগে চার্জশিট দিয়েছে।
পুলিশের অনুমান, আফরাজুল নিজের রাজ্য থেকে পরিচিতদের এনে এলাকায় কাজের সুযোগ ও থাকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছিল। স্থানীয় হয়ে সেটা সহ্য করতে পারেনি শম্ভুলাল। আর সেজন্যই নৃশংসভাবে কুপিয়ে আফরাজুলের গায়ে আগুন দিয়ে তাকে শম্ভুলাল জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেয়।