লাদাখের ভারত-চিন সংঘর্ষের একদিন পর শহিদ জওয়ানদের নিয়ে টুইট প্রতিরক্ষামন্ত্রীর! কী বললেন রাজনাথ?
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় গালওয়ান ভ্যালিতে চিন সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ ভারতীয় সেনা জওয়ান। সংঘর্ষে ৪৩ জন চিনা সৈনিকও নিহত বলে জানা গিয়েছে। এরই মধ্যে ভারতের আরও ৪ সৈনিক এখনও গুরুতর অবস্থায় রয়েছে সেখানে। তাছাড়া ১০ জন জওয়ান এখনও নিখোঁজ বলে খবর এসেছে। এই অবস্থায় লাদাখের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
ঘটনার ৩৬ ঘণ্টারও পর শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে টুইট
এই অবস্থায় ঘটনাটি ঘটার প্রায় ৩৬ ঘণ্টারও পর শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে টুইট করলেন রাজনাথ সিং। এদিন সকালে একটি টুইট করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লেখেন, 'যেভাবে গালওয়ানে ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখের, এই সেনা জওয়ানদের বীরত্ব ও আত্মবলিদানকে কখনোই ভুলবে না দেশ।'
দেশ তাঁদের বীরত্ব ও আত্মবলিদানকে কখনই ভুলতে পারবে না
রাজনাথ সিং টুইট করে লেখেন, 'জাতি তাঁদের বীরত্ব ও আত্মবলিদানকে কখনই ভুলতে পারবে না। নিহত সেনাদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রয়েছে। এই কঠিন সময়ে জাতি তাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা ভারতের এই অসম সাহসী জওয়ানদের জন্যে গর্বিত।'
জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং
এদিকে মঙ্গলবার লাদাখের সংঘর্ষের খবর সামনে আসতেই জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, সিডিএস বিপিন রাওয়াত ও তিন বাহিনীর প্রধান। এরপর গভীর রাতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও চার মন্ত্রী ও সেনা প্রধানদের মধ্যে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় এই সংক্রান্ত।
লাদাখে বাহিনী মোতায়েন
জানা গিয়েছে এরপরই সেনাকে লাদাখে বাহিনী মোতায়েন করার সমস্ত রকমের ছাড় দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এর আগে কাশ্মীর থেকে বিপুল সংখ্যাক সেনা লাদাখে নিয়ে যাওয়া হলেও শান্তি প্রক্রিয়ার সময় তা হটানো হয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আবার সেই সেনাদের সীমান্তে মোতায়েন করা হচ্ছে বলে খবর।
সীমান্তবর্তী বেসে নিজেদের প্রস্তুত রাখছে বিমানবাহিনী
এদিকে ভারতীয় বিমান বাহিনীকেও সীমান্তবর্তী বেসে নিজেদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, চিনের কাছে লাদাখ সীমান্ত পারে যুদ্ধবিমান রয়েছে। সেই হামলা প্রতিহত করতেই আগেভাগে তৈরি রাখা হচ্ছে ভারতীয় বিমানবাহিনীকেও।
লাদাখে উত্তেজনার মাঝেই ফের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, চিনের নির্দেশেই হামলা?