সমর্থনের আশায় মুসলিম ধর্মগুরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ রাজনাথ সিংয়ের
এদিন ধর্মগুরুর সঙ্গে দেখা করার পর রাজনাথ সিং বলেন, আমি এর আগেই বলেছি, ভারতীয় জনতা পার্টি এমন একটি দল যারা কখনও মানুষের মধ্যে ঘৃণার সঞ্চার করবে না। এমনকী মানুষকে কখনও ঘৃণ্য চোখে দেখবেও না। আমাদের কাছে সবাই সমান। জাওয়াদ স্যার আমাদের ধার্মিক নেতা। আমি এখানে ওনাকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতেই এসেছি।
সম্প্রতি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী দিল্লির জামা মসজিদের ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারির নেতৃত্বে মুসলিম ধর্মগুরুদের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেন। তার পরে সোমবার বিজেপি সভাপতির এই মুসিলিম ধর্মগুরুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ অত্যন্ত অর্থবহ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজনাথ সিংয়ের ভোট আবাদেনর পরেও জাওয়াদ জানিয়েছেন, সোমবার রাতে বিজেপির সভাপতির সঙ্গে তাঁর যা যা আলোচনা হয়েছে তা সম্প্রদায়ের সামনে রাখা হবে। তারপরে তারা বিজেপিকে ভোট করবে কি করবে না তার সিদ্ধান্ত সম্প্রদায়ের প্রত্যেকটি মানুষের ব্যক্তিগত হবে। আমারা কখনও আমাদের মতামত তাদের উপর চাপিয়ে দিতে পারি না বলেও মন্তব্য করেন জাওয়াদ।
জাওয়াদ আরও বলেন, আমাদের বক্তব্য শোনার পরে যদি আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপি ভোট করে তা ভাল খবর। কিন্তু যদি বিজেপি ভোট নাই করে, তাতেও আমরা সম্প্রদায়ের মতামতকে মেনে নেব।
মুসলমান ধর্মগুরুদের সঙ্গে নিজের সাক্ষাতের কথা টুইটারে টুইট করে জানান রাজনাথ সিং। তিনি টুইট করে বলেন, মৌলানা কালবে সাদিক,মৌলানা খালিদ রসিদ এবং মৌলানা কালবে জাওয়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। এমনকী মৌলানা কালবে রাসিদের সঙ্গে সাক্ষাতের স্থিরচিত্রও টুইটারে প্রকাশ করেন রাজনাথ সিং।
দেশের ধর্মের ঐক্যের উপর জোর দিয়ে রাজনাথ সিং বলেন,যদি আমরা একটি সুদৃঢ় এবং সমন্বিত ভারত দেখতে চাই তাহলে আমাদের সব সম্প্রদায়ের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। এবং সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই চলছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সেই কারণেই দলের সভাপতি হিসাবে এবং এই আসনের বিজেপি পার্থী হিসাবে আমি ধার্মিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা ভেবেছি। আমি প্রত্যেককে আমার ও দলের তরফ থেকে সম্মান জানাতে চাই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিজেপি সভাপতি বলেন, দেখা করে আমি জাওয়াদ স্যারকে বলেছি লখনউ গঙ্গা-যমুনা ঐতিহ্যের জন্যই পরিচিত। এবং সেটা যাতে বজায় থাকাটা জরুরি বলেও তাঁকে জানিয়েছি। লখনউ সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে আমরা ওনাকে স্বাগত জানিয়েছি।