যৌথ থিয়েটার কম্যান্ড স্থাপনের ঘোষণা রাজনাথ সিংয়ের, প্রতিরক্ষায় সমন্বয়ের উদ্যোগ
যৌথ থিয়েটার কম্যান্ড স্থাপনের বার্তা দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ নিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি ট্রাই সার্ভিস ব্যবস্থাকে প্রস্তুত রাখতে তৎপর।
যৌথ থিয়েটার কম্যান্ড স্থাপনের বার্তা দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ নিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি ট্রাই সার্ভিস ব্যবস্থাকে প্রস্তুত রাখতে তৎপর। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জম্মু-কাশ্মীরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
রাজনাথ সিং আরও বলেন, কার্গিলের অপারেশন বিজয়ে দেখা গিয়েছে যে ধরনের যৌথ অভিযান, আমরা সেদিকে দৃষ্টি রেখে যৌথ থিয়েটার কম্যান্ড তৈরি করব। তেমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। ভারত দীর্ঘ প্রতীক্ষিত থিয়েটারাইজেশন প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে, তা আগেই আভাস দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারত আগে থেকেই রোল আউট শুরু করেছিল এ বিষয়ে।
এয়ার ডিফেন্স কম্যান্ড এবং মেরিটাইম থিয়েটার কম্যান্ড ২০২০ সালের মে নাগাদ চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা সম্পূর্ণরূপে চালু হতে বছর ঘুরে যাবে। থিয়েটারাইজেশনে সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। ২০২১ সালের জুন মাসে সরকার থিয়েটারাইশেন পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়িত করার প্রাথমিক প্রয়াস শুরু হয়। নতুন য়ৌথ পরিকাঠামোর মাধ্যমে দ্রুর রোল আউটের জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনকে বোর্ডে আনতে আট সদস্যের প্যানেল তৈরি করা হয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর থিয়েটারাইজেশন মডেল, একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সংস্কার, পরিবর্তনের পর্যায়ে যে কোনও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মেকাবিলায় বর্তমান কম্যান্ড বা নিয়ন্ত্রণ পরিকাঠামোয় ফিরে আসার জন্য নমনীয়তা রাখা দরকার। থিয়েটার কম্যান্ডের স্থিতিশীলতা গঠন করতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এই পুনর্গঠনে চলমান অবস্থায় যদি কোনও সঙ্কট দেখা দেয়, তাহলে প্রি-থিয়েটারে দ্রুত ফিরে আসার জন্য একটি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
রাজনাথ সিং শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আরও বলেন, দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের সর্বোচ্ছ আত্মত্যাগ দেশবাসী কখনও ভুলবে না। কখনও ভুলতে পারবে না। তাঁর কথায়, সমাজ ও জনগণের কর্তব্য শহিদ ও তাদের পরিবারকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া। জনগমের উদ্দেশে তিনি বলেন আপনি যা কিছু সহায়তা দিতে পারেন বা আপনার পক্ষে দেওয়া সম্ভব, সেটাই আপনি তাদের পরিবারের জন্য করুন। এটি প্রতিটি নাগরিকের দায়্ত্ব হওয়া উচিত।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ভারত বিশ্বের সবথেকে বড় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিকারক দেশ ছিল। তা থেকে দ্রুত রফতানিকারক দেশে পরিণত হয়ে চলেছে। তিনি উল্লেখ করেন, ভারত বিশ্বের মধ্যে প্রতিরক্ষা রফতানিতে নিযুক্ত শীর্ষ ২৫টি দেশের মধ্যে রয়েছে। ভারত ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা রফতানি শুরু করেছে এবং ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার কোটিতে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।