'১৯৮৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে শিখদের হত্যার নির্দেশ আসে', চাঞ্চল্যকর দাবি ফুলকার
১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গা নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এইচএস ফুলকা।
১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গা নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এইচএস ফুলকা। এদিন বৃহস্পতিবার তিনি সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, ১৯৮৪ সালে শিখ বিরোধী দাঙ্গা নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্দেশ এসেছিল শিখদের হত্যার। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ফুলকা বলেছেন, যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে এটা প্রমাণ করার জন্য যে ১৯৮৪ সালের ঘটনায় যেখানে প্রচুর শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল সেই হত্যার নির্দেশ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এসেছিল। প্রয়োজন থাকলেও সেনাকে ডাকা হয়নি। এই নিয়ে আমাদের সমস্ত তথ্য-প্রমাণ নানাবতী কমিশনের কাছে আমরা তুলে ধরেছি।
সেই সময় মোরারজি দেশাই সরকারে শান্তি ভূষণ ছিলেন আইনমন্ত্রী। শান্তি ভূষণ কমিশনের কাছে নিজে হলফনামা জমা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন নভেম্বরের ১ তারিখে সকালে তিনি নরসীমা রাও-এর কাছে গিয়েছিলেন। তিনি সেই সময়ে সরকারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি নরসীমা রাওকে সেনা নামানোর আহ্বান জানান। যাতে সাধারণ মানুষ আর প্রাণ না হারায়। নরসীমা রাও সেই কথাতে রাজি হয়েছিলেন বলে এইচএস ফুলকা দাবি করেছেন। সরাসরি মন্ত্রীদের সাথে কথা বলেন তিনি। ফুলকার দাবি ফোনে নরসীমা অপর প্রান্তে থাকা একজনকে সেনা নামানোর জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে কিছুক্ষণ পর নরসীমা হতদ্যম হয়ে ফোন রেখে দেন। এবং এক জায়গায় শান্ত হয়ে বসে পড়েন।
এইচএস
ফুলকার
দাবি
শান্তি
ভূষণ
বলেছিলেন,
সেই
সময়
তিনি
নরসীমা
রাওয়ের
সঙ্গে
কয়েক
মিনিট
থাকলেও
তিনি
একবারও
কথা
বলেননি।
তারপর
সেই
দেখে
শান্তি
ভূষণ
বেরিয়ে
যান।
এইচএস
ফুলকার
দাবি,
সেই
সময়ে
চরণ
সিং,
দেবী
লাল
যাদব,
রাম
বিলাস
পাসোয়ানের
মতো
নেতারা
রাষ্ট্রপতিকে
ফোন
করে
সেনা
নামানোর
আবেদন
জানান।
এক্ষেত্রে
রাষ্ট্রপতি
রাজি
ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
থেকে
শুরু
করে
সকলেই
চেয়েছিলেন
যাতে
সেনা
নামিয়ে
পরিস্থিতি
সামাল
দেওয়া
যায়।
তাহলে
কে
তখন
বাধা
দিয়েছিল?
ফুলকার মতে এই ঘটনায় বাধা দেয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্ত। সেই সম্পর্কিত নথি কমিশনে তুলে দেওয়া হয়েছে। ফুলকার আরও দাবি, নভেম্বরের এক তারিখে সেনা নেমে সফদরজং এনক্লেভে নিরীহ মানুষদের আক্রমণ থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল। তবে হঠাৎ করে এক সেনা অফিসার এসে তাদের থামিয়ে দেয়। স্পষ্ট জানায়, সেনার মুভমেন্টের কোনও নির্দেশ নেই।
তখন নাকি, ১৫ মিনিটের মধ্যে সেনাকে ক্যান্টনমেন্টে রিপোর্ট করতে বলা হয়। সেনারা ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছলে তাদের ব্যারাকে ফিরে যেতে বলা হয়। এবং হাত থেকে অস্ত্র নিয়ে নেওয়া হয়। ফুলকার দাবি, ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর দিল্লিতে পাঁচ হাজার সেনা জওয়ান ছিল। সেনাকে রাস্তায় নামানো যেত। তাহলে ২ হাজার লোকের প্রাণ বাঁচত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর তা হতে দেয়নি। তাঁর আরও অভিযোগ, ক্ষমতার শীর্ষে থাকায় প্রভাব খাটিয়ে সমস্ত প্রমান চেপে দেওয়া হয়েছে। অথবা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রচুর প্রমাণ এখনও রয়েছে। রাজীব গান্ধীর অফিসই খুন করার নির্দেশ দিয়েছিল বলে অভিযোগ ফুলকার।