প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীর মুক্তি, ৩১ বছর পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুক্ত পেরারিভেলান
প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীর মুক্তি, ৩১ বছর পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুক্ত পেরারিভেলান
৩১ বছর জেল খাটার পর অবশেষে মুক্তি দেওয়া হল রাজীব গান্ধীর হত্যাকারী পেরারিভালানকে। তামিলনাড়ু সরকার বারবার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তাঁকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অবশেষে সেই অনুরোধ মেনে নিয়েই মুক্তি দেওয়া হল পেরারিভেলানকে। গত ৯ মার্চ তাঁকে জামিন দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
জামিনে মুক্ত রাজীব গান্ধীর হত্যাকারী
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন রাজীব গান্ধীর হত্যাকারী পেরারিভেলান। ৩১ বছর জেলে ছিলেন তিনি। তামিলনাড়ু সরকার তাঁর মুক্তির জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেই অনুরোধ শুনেই অবশেষে শীর্ষ আদালত জামিন দিয়েছে রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীকে। গত ৯ মার্চ শীর্ষ আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। তারপরে জামিনে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হল। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে এই মামলার ১৪২ অনুচ্ছেদে প্রয়োগ করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে পেরারিভেলানকে। সু্প্রিম কোর্টের বিচারপতি নাগেশ্বর রাও, বিচারপতি বিআর বাভাই এবং বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চ এই জামিন মঞ্জুর করেছে।
কী অনুরোধ তামিলনাড়ু সরকারের
পেরারিভেলানকে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল তামিলনাডু সরকার। ২০১৮ সাল থেকে পেরারিভেলানকে মুক্তির অনুরোধ জানিয়ে আসছিল তামিলনাড়ু সরকার। সেই সুপারিশেই তাঁকে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ষ তামিলনাড়ু সরকারের সুপারিশের পরেই পেরারিভেলান ৯ মে জামিন দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। যদিও কেন্দ্র শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছিল, শাস্তি মকুব করার ক্ষমতা একমাত্র রাষ্ট্রপতির রয়েছে। কেন্দ্রের মন্তব্যে সন্তুষ্ট না হয়ে শেষে রীতিমত তিরস্কার করেছেন তাঁরা।
৩১ বছর ধরে জেলে
দেশের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত পেরারিভেলান। ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে নির্বাচনী প্রচারে সময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল রাজীব গান্ধীকে। সেই বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিলেন ১৪ জন। তারপরেইএই ঘটনায় টাডা আদালত পেরারিভেলান সহ ২৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়। পেরারিভেলানের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা জঙ্গি সংগঠন এলটিটিই-র সরাসরি যোগাযোগ ছিল। মাত্র ১৯ বছর বয়সে ধরা পড়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে জেলেই ছিলেন পেরারিভেলান।
সাজা কমায় আদালত
এই ঘটনা পরে মৃত্যু দণ্ডের সাজা কমিয়ে কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল পেরারিভেলানকে। ২০১৪ সালে নলিনী মুরুগান, সান্থান, এজি পেরারিভেলান, জয়কুমার, রবার্ট পায়াস, পি রবিচন্দ্রন সহ ৭ জনকে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। ২০১৪ সালের মার্চ মাসেই তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছিল আদালত। ২০১৬ সালে তামিলনাড়ুর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাও পেরারিভেলানের মুক্তির সুপারিশ করেছিলেন।