রাজীবের নামাঙ্কিত সংস্থাকে ৩ লক্ষ ডলার অর্থসাহায্য চিনা দূতাবাসের! ফের গান্ধীদের তোপ নাড্ডার
চিনের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সম্পর্ক নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি বিজেপি সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার। এদিন মধ্যপ্রদেশ জনসংবাদে বক্তব্য রাখার সময় এ নিয়ে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা। তিনি দাবি করেন যে চিনের দূতাবাসের তরফে ২০০৫ সালে ৩ লক্ষ মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছিল রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনকে।
গান্ধীদের বিরুদ্ধে নাড্ডার অভিযোগ
এদিন নাড্ডা বলেন, 'চিনের দূতাবাসের তরফে ২০০৫ সালে ৩ লক্ষ মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছিল রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনকে। এটাই আসলে চিন ও গান্ধী পরিবারের গোপন সন্ধির প্রমাণ। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে দেশ জানে না।'
সনিয়া এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা
এদিকে কংগ্রেস শাসনকালে চিনের সঙ্গে ভারতের ২০০৮ সালে একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেই এবার কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হল। সেই মউ সাক্ষরের মূল বিষয়বস্তু কী ছিল তা প্রকাশ্যে না আনার অভিযোগ জানিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হল।
মামলাকারীদের অভিযোগ
আইনজীবী শশাঙ্ক শেখর এবং গোয়া ক্রনিকলের এডিটর ইন চিফ সাভিয়ো এই জনস্বার্থ মামলা করেছেন। মউ-এর বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা সিবিআই-র তদন্তের দাবিজানিয়েছেন তাঁরা। আনলফুল অ্যাক্টিভিটি (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট-এর আওতায় তদন্তের দাবিকরা হচ্ছে।
চিনের সঙ্গে কংগ্রেস একটি মউ সই করেছিল
আবেদনকারীদের অভিযোগ, চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক না থাকার পরেও কংগ্রেস একটি মউ সই করেছিল। চুক্তির বিস্তারিত তথ্য এবং উদ্দেশ্য লোকানো হয়েছে। আবেদনকারীরা বলেন, 'তথ্য জানার অধিকার একটি রাজনৈতিক দল কি তা ভারতীয়দের থেকে ছিনিয়ে নিতেপারে। যদি সেটা জাতীয় স্বার্থে হয় তো ? যদি একটি শত্রু দেশের সঙ্গে চুক্তিদেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সেক্ষেত্রে কী করণীয়।'
নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ রাহুলের
এদিকে লাদাখ সমস্যা উপনীত হতেই ক্রমাগত কেন্দ্র ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে গিয়েছে রাহুল গান্ধী ও সনিয়া গান্ধী। রাহুল প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন। কখনও প্রধানমন্ত্রীকে সারেন্ডার মোদী বলেছএন, তো কখনও ভারতীয় সেনাকে ইচ্চা করে মৃত্যু পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছেন।
পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপিও
এদিকে পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপিও। বারবার কংগ্রেসকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তাদর জমানায় আকসাই চিন সহ ভারত কত এলাকা হারিয়েছে চিনের কাছে। গত প্রায় দুই মাস ধরে লাদাখে ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণরেখায় গালওয়ান ভ্যালিতে জারি রয়েছে দুই দেশের উত্তেজনা। এই পরিস্থিতিতেই গত সপ্তাহের সোমবার রাতের সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন ভারতীয় এক কর্নেল সহ ১৯ জন জওয়ান। চিনের তরফে ৪৩ জন সৈনিক নিহত হয় এই সংঘর্ষে।
উপত্যকা কার, ভারত না চিনের? কী বলছে গালওয়ান পরিবার! একনজরে ইতিহাস