রাজীব গান্ধী হত্যাকান্ডে নয়া মোড়! সুপ্রিম নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে Review petition দায়ের কেন্দ্রের
রাজীব গান্ধী হত্যাকান্ডে নয়া মোড়! হত্যা-কান্ডে সমস্ত দোষীকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে Review petition দায়ের করল কেন্দ্রীয় সরকার। রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে নলিনী, আর রবিচন্দ্রন সহ ৬ দোষীকে মুক্তির নির্দেশ দেয় সুপ
রাজীব গান্ধী হত্যাকান্ডে নয়া মোড়! হত্যা-কান্ডে সমস্ত দোষীকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে Review petition দায়ের করল কেন্দ্রীয় সরকার। রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে নলিনী, আর রবিচন্দ্রন সহ ৬ দোষীকে মুক্তির নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টে। গত ১১ নভেম্বর এই নির্দেশ দেয় আদালত। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ফের সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র।
ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই জেলমুক্তি হয়েছে নলিনী শ্রীহরণ, মুরুগান, সন্থান, জয় কুমারস রবার্ট পেয়াস, আরপি রবিচন্দ্রণের। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে জেলে কাটিয়েছেন এই ছয়জন। আর সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই এই নির্দেশ জানায় আদালত। বলে রাখা প্রয়োজন, মুক্তির দাবিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নলিনী এবং আর পি রবিচন্দ্রন।
সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এহেন নির্দেশ শোনায় সুপ্রিম কোর্ট। যদিও কেন্দ্র বলছে, তাঁদের বক্তব্য শোনেনি শীর্ষ আদালত। আর তা না শুনেই এহেন নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য, তামিলনাড়ু সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন রাজীব গান্ধী হত্যা কাণ্ডে জড়িতরা। দীর্ঘ বছর পর তাঁদের মুক্তির নির্দেশকে ঐতিহাসিক বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হত্যা কাণ্ডে মোট সাতজন দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
Centre files review petition in the Supreme Court against the November 11 order allowing the release of all convicts in the Rajiv Gandhi assassination case. pic.twitter.com/stcCnGENnz
— ANI (@ANI) November 17, 2022
যদিও এর মধ্যে একজনকে আগেই মুক্তি দিয়েছে আদালত। এজি পেরারিেভলান আগেই মুক্তি পেয়ে ছিলেন। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাকি ছয়জনকেও রেহাই করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে এভাবে মুক্ত হয়ে যাওয়ার ঘটনায় কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই অবস্থায় ফের একবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্র। ১১ নভেম্বরের রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হল।
ফলে নতুন করে ফের একবার আইনি জটিলতা তৈরি হল। আগামী সপ্তাহেই এই সংক্রান্ত মামলার ফের শুনানি হতে পারে। যদিও আদালত কি রায় শোনায় সেদিকেই নজর সবাই। সালটা ছিল ১৯৯১, ২১ মে! তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে জনসভা চলছিল। আর সেই সময়ে হঠাত করেই আত্মাঘাতী একটি বিস্ফোরণ ঘটে। আর তাতেই প্রয়াত হন রাজীব গান্ধী।
এই ঘটনায় সাত দোষীকে মৃত্যুদন্ডের সাজা শুনিয়েছিল আদালত। সেই তালিকাতে নলিনী সহ একাধিক নাম ছিল। যদিও ২০০০ সালে সেই নির্দেশ খারিজ যাবজ্জীবনের নির্দেশ শোনায় আদালত। যদিও পরবর্তীকালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা সাত দোষীর রেহাইয়ের সুপারিশ করেছিলেন। যদিও তা নিয়ে একাধিক আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছিল।
তবে সুপ্রিম নির্দেশে রেহাই পাওয়ার পরেই নলিনী জানিয়েছিলেন, আমি সন্ত্রাসবাদী নই। গত ৩২ বছর ধরে জেলে কঠিন জীবন যাপন করতে হয়েছে। নতুন করে জীবন শুরু করার কথাও বলেছিলেন তিনি।