তাঁর স্টান্টবাজিতে মাত আসমুদ্র হিমাচল, ৩১ তারিখে আবার কোন স্টান্ট দিতে চলেছেন রজনী
এহেন রজনী তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে চলেছেন ৩১ ডিসেম্বর। আর রজনীর এই ঘোষণার পরই এখন শুরু হয়েছে কাউন্ট-ডাউন। জয়ললিতার মৃত্যুর পর থেকে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে একটা অস্থিরতাও তৈরি হয়েছে।
তাঁর স্টান্টবাজিতে মাত থাকে আসমুদ্রহিমাচল। দক্ষিণের মেগাস্টার হয়েও ভারতীয় চলচ্চিত্রে একটা বিশাল নাম রজনীকান্ত। শুধু নিজের নামটাকে ছাপিয়েই ছবি মুক্তির আগে অনায়সে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়ে যায়। ছবি খারাপ বা ভালো-- এটা মানেন না রজনী ফ্যানরা। তাঁদের কাছে 'থ্যালাইভা'-র হাত-পা নাড়া, কথা বলা আর স্টাইল প্রত্যক্ষ করাই যথেষ্ট। 'থ্য়ালাইভা' এই নামেই রজনীকে ডাকেন তাঁর ভক্তরা।
এহেন রজনী তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে চলেছেন ৩১ ডিসেম্বর। আর রজনীর এই ঘোষণার পরই এখন শুরু হয়েছে কাউন্ট-ডাউন। কিছুদিন আগেই চেন্নাইয়ে রজনীকান্তের জন্মদিন পালন উপলক্ষ্যে উৎসবের চেহারা নিয়েছিল। পরিস্থিতি এতটাই পাগলপারা হয়েছিল যে পদপিষ্টের আশঙ্কাও তৈরি হয়। এহেন রজনী ক্রিসমাস উৎসবের আবহে যখন বলছেন ৩১ ডিসেম্বর তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে চলেছেন তখন তাতে যে উত্তেজনার পারদ যে বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
৩১ ডিসেম্বর আসলে রজনী তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন। বহুদিন থেকেই রাজনীতিতে রজনী-র আসা নিয়ে জল্পনা চলছে। রজনী নিজেও বহুবার এই সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছেন। একটা সময় মনে করা হত তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে যদি করুণানিধি বা জয়ললিতাদের কেউ চ্যালেঞ্জ করার মতো ব্যক্তিত্ব থেকে থাকেন তাহলে তিনি হলেন মেগাস্টার রজনীকান্ত।
জয়ললিতার মৃত্যুর পর থেকে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে একটা অস্থিরতাও তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পদের দখল নিয়ে যে ভাবে রাজনীতি হচ্ছে তাকে নক্কারজনক বলেই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সকলেই চাইছেন রজনীকান্ত রাজনীতিতে আসুন।
কয়েক মাস আগেও কমল হাসান ও রজনী একসঙ্গে রাজনীতিতে আসার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। কিন্তু, কমল হাসান-এর সঙ্গে কিছু মনোমালিন্যের জেরে এরপর রজনী এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি।
কিন্তু, জাতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রজনী জানিয়েছেন, তিনি রাজনীতিতে যে আসছেন না এমন কথা কোনও দিনই বলেননি। তবে, এই বিষয়ে এবার তিনি একটা চূড়ান্ত ভাবনা ভেবেছেন। ৩১ ডিসেম্বর তা তিনি ঘোষণা করবেন।