ভগবানের 'সতর্ক বার্তা', ময়দানে নামার আগেই একাধিকবার রাজনীতি থেকে অবসর রজনীকান্তের
নিজে কোনও দিনই সক্রিয় রাজনীতিতে নামেননি। তবুও তামিল জনজীবন এবং রাজনীতিতে গভীর প্রভাব রয়েছে রজনীকান্তের। এর আগে জনসমক্ষে নিজের রাজনৈতিক পছন্দের কথা জানিয়েছেন। তবে এবার প্রথমবারের জন্য তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে নামার ঘোষণা করেছিলেন। তবে এবারও ঈশ্বরের সতর্ক বার্তার জেরে পিছু হটলেন থালাইভা।
২০১৭-তে প্রথমবার রাজনীতিতে পদার্পণের ঘোষণা করেন
২০১৭ সাল থেকেই রজনীকান্তের সক্রিয় রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা৷ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর রজনীকান্ত প্রথমবার রাজনীতিতে ঢোকার ঘোষণা করেন। তবে সেবার রাজনীতিতে পদার্পণ হয়নি রজনীকান্তের। এরপরও একাধিকবার রাজনৈতিক আঙিনায় নামার কথা ঘোষণা করলেও শেষ পর্যন্ত ভোট বাক্সে ঝড় তোলার সুোগ পাননি থালাইভা।
রাজনীতির ময়দান থেকে সরে দাঁড়ান অক্টোবরে
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রজনীকান্তের সহকারী ও কাছের মানুষ ত্য়াগরাজন জানিয়েছিলেন, মে বা জুন মাসে রজনীকান্ত লঞ্চ করতে চলেছেন তাঁর নিজের রাজনৈতিক দল। তবে অক্টোবরেই রজনীকান্ত জানিয়েছিলেন, শারীরিক সমস্যার কারণে রাজনীতির ময়দান থেকে সরে দাঁড়াতে চলেছেন।
তবে ফের মত বদল করেন থালাইভা
তবে নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই মত বদল করেন থালাইভা। আগামী বছরের জানুয়ারিতেই নিজের রাজনৈতিক দল গঠন করতে চলেছেন বলে জানিয়েছিলেন রজনীকান্ত। ৩১ ডিসেম্বর বিষয়টি অফিশিয়ালি ঘোষণা করা হবে বলে টুইটারে নিজেই জানিয়েছিলেন রজনীকান্ত। তবে হাসপাতালে দুই দিন ভর্তি থাকার পর সেই সিদ্ধান্ত ফের বদল করেন।
রজনীকান্তের বার্তা
এদিন টুইটারে রজনীকান্ত লেখেন, 'অনেক দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমি রাজনীতিতে পা রাখছি না। এই কথা ঘোষণা করতে গিয়ে আমার খুবই খারাপ লাগছে। রাজনীতিতে প্রবেশ না করেও আমি সাধারণ মানুষের জন্য অনেক কিছুই করতে পারি। আমার এই সিদ্ধান্ত অনুরাগী ও সবাইকে যে আশাহত করেছে তা আমি জানি । দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।'
রজনীকান্তকে ঘিরে তামিল রাজনৈতিক সমীকরণ
তিনি নতুন দল গঠন করলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর সঙ্গে জোট করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন কমল হাসান। এর আগে ১৯৯৬ সালে ডিএমকে প্রধান করুণানিধির সমর্থনে গলা ফাটিয়েছিলেন তিনি। হেরে গিয়েছিল জয়ললিতার এআইএডিএমকে। স্তালিনের ভাই আলাগিরির সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক রজনীর। তবে এবারও রাজনীতির ময়দানে নামার আগেই অবসরের ঘোষণা করেন রজনীকান্ত।