আরএসএসের জন্মবার্ষিকীতে ১০ লক্ষ প্যান্ট তৈরিতে ব্যস্ত রাজস্থানের দর্জি
নয়াদিল্লি, ২০ জুন : কয়েকমাস আগে হাজারো আলোচনার পরে তথাকথিত ট্রেডমার্ক 'হাফপ্যান্ট' থেকে 'ফুলপ্যান্ট'-এ বদলের কথা গৃহীত হয়েছে আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ) এর বৈঠকে। আগামী বিজয়া দশমীর দিন অর্থাৎ আরএসএসের ৯১-তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে হাফ প্যান্ট ছেড়ে ফুল প্যান্টে দেখা যাবে সংঘ সেবকদের।
আর এই বিশাল সংখ্যক প্যান্ট তৈরির কাজই চলছে রাজস্থানের চিত্তোরগড় থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে আকোলা নামে একটি গ্রামের এক দর্জি কারখানায়। আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই ১০ লক্ষ ফুল প্যান্ট সেলাই করে দিতে হবে। যা পরে বিজয়া দশমীর দিন সংঘের ৯১-তম জন্মবার্ষিকী পালন করবেন সেবকরা।
পেশায় দর্জি জয় প্রকাশ একেবারে প্রথম থেকে বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে আসছেন। ২০০০ সালে বাবার কাছ থেকে এই দর্জি কারখানার দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে নেন। আরএসএসের যাবতীয় জামাকাপড় থেকে শুরু করে অন্তর্বাস সেলাইয়ের কাজ তিনিই করেন।
এবছরটা একটিু আলাদা। একে ৯১-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। তার উপরে হাফপ্যান্ট ছেড়ে ফুলপ্যান্ট পরবেন সেবকরা। ফলে বাড়তি দায়িত্ব এসে পড়েছে জয় প্রকাশের কাঁধে। এজন্য মোট ৭ লক্ষ মিটার কাপড় এসেছে ভিলওয়াড়ার কাপড় মিল থেকে।
আরএসএসের জেলা শাখার সম্পাদক জানিয়েছেন, সারা দেশে সমস্ত স্বয়ংসেবকদের প্য়ান্টের রঙ যাতে এক হয় সেজন্য একটি কাপড়ের মিল থেকেই অর্ডার দেওয়া হয়েছে। যা বিজয়া দশমীর দিন সারা দেশজুড়ে পরবেন সেবকরা। দশমীর আগে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তা সারা দেশে বিতরণ করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯২৫ সালে আরএসএস প্রতিষ্ঠা হয়। তখন থেকেই খাকি হাফপ্যান্টেই দেখা যেত স্বয়ং সেবক সংঘের নেতা-কর্মীদের। তবে গত মার্চেই আরএসএসের বৈঠকে ঠিক হয়, হাফ ছেড়ে ফুলপ্যান্টেই দেখা যাবে সেবকদের। এর পাশাপাশি খাকি রঙ বদলে তা গাঢ় বাদামি করার প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে।