পাখির মড়কে সংকটে রাজস্থানের লবণ শিল্প
রাজস্থানের সম্ভর হ্রদে একসঙ্গে শতাধিক পাখির মৃত্যুতে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার লবন শিল্প। লবন তৈরির অন্যতম কেন্দ্র এই সম্ভর হ্রদ।
রাজস্থানের সম্ভর হ্রদে একসঙ্গে শতাধিক পাখির মৃত্যুতে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার লবণ শিল্প। লবণ তৈরির অন্যতম কেন্দ্র এই সম্ভর হ্রদ। পাখির মড়কের কারণে সেখানকার লবণ তৈরির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া মিশে রয়েছে হ্রদের জলে। সেকারণেই পাখির মৃত্যু হয়েছে।
পাখির মড়ক
পাখির মড়কের কারণে সম্ভর হ্রদের কয়েক কোটি টাকার লবণ শিল্প ক্ষতির মুখে পড়েছে। একই সঙ্গে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ৪০ হাজার বাসিন্দা। এই লবণ শিল্পের জন্যই জড়িত তারা। এই সম্ভর হ্রদের ১৮ হাজার পাখির মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এখানকার লবণ শিল্পের উপর। দেশের একমাত্র বৃহৎ লবণ হ্রদ এটি।
সরকারি নির্দেশিকা
লবণ কমিশনারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে এই সম্ভর হ্রদের লবণ উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যার জেরে প্রায় ১০০০ ইউনিট লবণ তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। সেগুলি বিক্রি করা যাচ্ছে না। কারণ হাজার হাজার পাখির দেহ পড়ে রয়েছে হ্রদের জলে। সেগুলি হ্রদের জলেই মিশে যাচ্ছে। যেখানে যেখানে পাখির দেহ পাওয়া যাচ্ছে সেখানে সেখানে লবণ তৈরি বন্ধ করে দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাজস্থানের লবণ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি।
উৎপাদন থমকে যাওয়ার আশঙ্কা
এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে লবণের দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ দেশের ৭০ শতাংশ লবণ গুজরাটে তৈরি হলেও ৩০ শতাংশ লবণ রাজস্থানের সম্ভর হ্রদে তৈরি হয়ে থাকে। সেখানে উৎপাদন আপাতত একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পাখির মড়কের কারণে।