রাজস্থানের মরুঝড় ছিল আগাম ইঙ্গিত, কংগ্রেস হাইকমান্ডের উপর আছড়ে পড়তে চলেছে বিশাল সুনামি
সচিন পাইলট সকল মনোমালিন্য দূরে সরিয়ে রেখে দলে ফিরে এসেছেন। তবে সেই ঘর ওয়াপসি হয়েছে অনেক শর্ত মেনে। আর এই আবহেই কংগ্রেসের অন্দরের আরও বড় বিভেদ সবার সামনে চলে আসতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আশঙ্কা এই বিভেদের ঝড়ে এবার উড়ে যেতে পারে কংগ্রেসের হাইকমান্ড।
রাহুল গান্ধীর অন্ত কি খুব শীঘ্র আসতে চলেছে?
টিম রাহুল গান্ধীর অন্ত কি খুব শীঘ্র আসতে চলেছে? গত কয়েকদিন ধরে রাজস্থানের রাজনীতির উথালপাথালে এই প্রশ্নই উঠে আসে বারবার। ৫ মাস আগেই একদা রাহুল ঘনিষ্ট বলে পরিচিত জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে সরকার তছনছ করে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে রাজস্থানের সদ্য প্রাক্তন হওয়া উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের বিদ্রোহ ঘোষণায় কংগ্রেসের বেহাল দশা সামনে এসে পড়ে।
পাইলটকে দলে রাখতে হস্তক্ষেপ করছেন স্বয়ং রাহুল
যদিও সচিন পাইলটকে দলে রাখতে হস্তক্ষেপ করছেন স্বয়ং রাহুল গান্ধী। দীর্ঘ টালবাহানার পর রাহুল গান্ধীর সঙ্গে অবশেষে দেখা করেন সচিন পাইলট। এই বৈঠকের পর নিজের অনুগামীদের সঙ্গে জয়পুরে ফিরে গিয়ে অধিবেশনে যোগ দেন পাইলট। তবে সচিনের ঘর ওয়াপসিতে গেহলট শিবিরে কী প্রতিক্রিয়া হবে তা দেখতে আগ্রহী রাজনৈতিক মহলে। কারণ এখন সরকার বাঁচাতে জোটবদ্ধ হলেও ক্ষমতা হ্রাস করা হলে যেকোনও পক্ষই ফের একে অপরের বিরুদ্ধে ফের বিদ্রোহ ঘোষণা করবে।
জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের পরিস্থিতি খুব খআরাপ
তবে বর্তমানে কংগ্রেসের পরিস্থিতি রাজস্থান ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরে আরও সঙ্গীন। একবছর আগে কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। এরপরও কংগ্রেস তাঁকে পদে ফেরার জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করে গিয়েছে। তবে তিনি রাজি হননি। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসাবে দলের রাশ ধরেন সনি গান্ধী। তবে একবছর হয়ে গেলেও কংগ্রেসের সভাপদি পদের জন্য আজও গান্ধী ছাড়া অন্য কারোর নাম ভাবা হচ্ছে না।
সভাপতি পদ নিয়ে জল্পনা
এরই মধ্যে ফের জল্পনা উস্কে দিয়ে এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। এবিষয়ে তিনি বলেছিলেন, 'কংগ্রেসের অন্তর্বর্তিকালীন সভাপতি পদে সনিয়া গান্ধীর ফিরে আসাকে আমি গতবছর স্বাগত জানিয়েছিলাম। তবে এখনও সনিয়া গান্ধীকে এই দায়িত্ব ভার সামলানোর জন্য জোর করা হলে তা অনৈতিক হবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।'
সরে দাঁড়িয়েছিলেন রাহুল গান্ধী
লোকসভা ভোটে কংগ্রেস গো হারা হারার পর সভাপতি পদ থেকে পদত্যা করেন রাহুল গান্ধী। কোনওভাবেই তিনি ফিরতে রাজি হচ্ছিলেন না। অশোক গেহলট থেকে কমলনাথ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা তাঁর কাছে এই নিয়ে আবেদন নিবেদন করেছেন। কিন্তু কিছুতেই দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে চান না তিনি এমনই জানিয়েছেন।
বিকল্প কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না
কংগ্রেসের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গান্ধী পরিবার ছাড়া কাউকে সভাপতি-র পদে বসাতে নারাজ সিংহভাগ কংগ্রেস নেতা। কিন্তু রাহুল রাজি না হওয়ায় সেই সনিয়া গান্ধীর উপরেই ভরসা রাখতে হয়েছে দলকে। তাই সনিয়া গান্ধীর সভানেত্রী পদে দায়িত্বের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ভাবে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি।
সঞ্জয় ঝায়ের বিস্ফোরক দাবি
তবে এবার তারই মধ্যে ফের বিস্ফোরক দাবি করলেন বহিস্কৃত কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ঝায়ের। সোমবার সকালে কংগ্রেসের অভ্যন্তরের তথ্য ফাঁস করে সঞ্জয় ঝা টুইট করে জানান, বিধায়ক ও সাংদস মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন কংগ্রেস নেতা সনিয়াকে নতুন করে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্যে আবেদন জানান।