বিধানসভায় অশরীরীদের আনাগোনা! তটস্থ বিধায়করা যা করলেন
কুসংস্কার বলুন বা আতঙ্ক! রাজস্থান বিধানসভায় অশরীরীরা রয়েছে বলে বদ্ধমূল ধারণা তৈরি হয়েছে বহু বিধায়কের মনে।তাঁদের দাবি, রাজস্থানের বিধানসভা ভবনে থেকে গিয়েছে কোনও অতৃপ্ত আত্মা।!
কুসংস্কার বলুন বা আতঙ্ক! রাজস্থান বিধানসভায় অশরীরীরা রয়েছে বলে বদ্ধমূল ধারণা তৈরি হয়েছে বহু বিধায়কের মনে।তাঁদের দাবি, রাজস্থানের বিধানসভা ভবনে থেকে গিয়েছে কোনও অতৃপ্ত আত্মা।! আর এই ধরণা তৈরির নেপথ্য কারণ , ২০০ জন বিধায়কের সংখ্যা থাকলেও বিধানসভায় কখনও ২০০ জন একসঙ্গে থাকতে পারেন না। হয় কেউ ইস্তফা দিয়ে দেন , নয় কেউ জেলে চলে যান কোনও দোষে অভিযুক্ত হয়ে, কিংবা বিধায়কদের অকাল মৃত্যুর ফলে শূন্য থাকে আসন । ফলে ২০০ জনের আসন থাকলেও রাজস্থান বিধানসভায় থাকতে পারেন না ২০০ জন বিধায়ক।
রাজস্থান বিধানসভার অনেক বিধায়করাই নিজেদের আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেকে। এরপরই পুরহিত ডেকে , রীতিমত বিধানসভার চারপাশে পুজো করা হয়। তথাকথিত 'খারাপ আত্মা' -কে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয় এইভাবে! তবে প্রাসঙ্গিকভাবে কিছুদিন আগে এক বিজেপি বিধায়কের মৃত্য়ুকে ঘিরে এই আতঙ্ক নতুন করে উস্কায়। তার আগে আরেক বিজেপি বিধায়কের মৃত্যু, বিএসপি বিধায়করে কারাবন্দি হওয়ার ঘটনা নিয়েও অদ্ভুতভাবে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে।
মূলত, অনেকেরই ধারণা এই বিধানসভা ভবন একটি জমির উপর তৈরি হয়েছে, যা আগে কবরস্থান বা শ্মশান ছিল। বিজেপি বিধায়ক নাগৌর হাবিব রহমানের দাবি, এই জায়গায় নিশ্চয়ই কোনও শিশুর ও অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া করা হয়েছে, তাই এমন খারাপ আত্মার ঘোরাফেরা বিধানসভা ভবনে। উল্লেখ্য, এই বিধানভবনের ২০০ মিটারের দূরত্বে রয়েছে লাল কোঠী মোক্ষ ধান শ্মশান। সব মিলিয়ে বিধানসভা ভবনে অশরীরী আতঙ্ক কাটাতে আপাতত নান যজ্ঞ, পুজা বিধির কথা ভাবছেন বিধায়করা। এবিষয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।