পদে থেকে কাজ করতে পারছেন না, মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা অশোক চন্দনা
কংগ্রেসে এখন মহাদুঃসময় চলছে। কে যে কখন দল ছেড়ে দিয়ে চলে যাচ্ছেন বোঝা যাচ্ছে না। না হলে এই বয়সে দল পরিবর্তন করেন কপিল সিব্বলের মতো দুঁদে কংগ্রেস নেতা! ওদিক থেকে দল ছাড়ার ইঙ্গিত তো দিয়েই রেখেছেন হার্দিক প্যাটেল। তার মধ্যেই হয়েছে চিন্তন শিবির। কিন্তু তাতে চিন্তা কমল না , উলটে তা কয়েক গুন বেড়ে গেল বলা যেতে পারে, কারণ মন্ত্রিত্ব পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন রাজস্থানের মন্ত্রী অশোক চন্দনা। তিনি টুইট করে জনসমক্ষে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে।
জানা গিয়েছে রাজস্থানের মন্ত্রী অশোক চন্দনা মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি কুলদীপ রাঙ্কার আচরণের ক্ষুব্ধ। তাঁর কথা অনুযায়ী , তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না বা তাঁর কথা কারও কানে যায় না। কুলদীপ রাঙ্কার নিজের মতো সব কিছু করেন। অনেকে হয়তো তা মেনে নিয়েছেন কিন্তু তিনি তা মানতে পারছেন না। পদে থেকে তিনি কাজ করতে পারছেন না। তাই তিনি এমন পদ চান না। এইজন্য চেয়েছেন মন্ত্রিত্বের পদ থেকে অব্যাহতি। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে বলেছেন তাঁকে যেন মুক্তি দেওয়া হয়।
রাঙ্কার সঙ্গে তার মতপার্থক্যের বিষয়ে বিশদ বিবরণ না দিয়ে, চন্দনা বলেছিলেন যে মুখ্য সচিবকে তার দাতিত্ব হস্তান্তর করা উচিত কারণ তিনি নিজেকে "সমস্ত বিভাগের মন্ত্রী" বলে মনে করেন। টুইটে অশোক চন্দনা লিখেছেন যে , "আমি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি যে আমাকে এই অপমানজনক মন্ত্রিত্ব পদ থেকে মুক্ত করুন এবং আমার সমস্ত বিভাগের দায়িত্ব কুলদীপ রাঙ্কাকে দিন। তিনি এমনিতেই সব বিভাগের মন্ত্রী, তাই আমার কাজটা তিনি করতে পারবেন।"
বুন্দির বিধায়ক অশোক চন্দনা রাজস্থানের ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক, দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট চন্দনার এই মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেছেন, "চন্দনা অনেক কাজের চাপের মধ্যে রয়েছেন। তিনি হয়তো টেনশনের মধ্যে এই বিবৃতি দিয়েছেন, এটাকে আমাদের সিরিয়াসলি নেওয়া উচিত নয়। আমি এখনও তার সাথে কথা বলতে পারিনি এই বিষয়ে।"
রাজস্থানে রাজ্যসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে এই নতুন সমস্যা কংগ্রেসের মধ্যে বিভেদকে আরও বৃদ্ধি করবে তা বলাই যায়। বৃহস্পতিবার বেগুর কংগ্রেস বিধায়ক রাজেন্দ্র সিং বিধুরি অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন। বিধুরি অভিযোগ করেছেন যে সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে রক্ষা করার জন্য রিট পেপার ফাঁস মামলায় সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করছে।
পরে তিনি দিল্লিতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপালের সঙ্গে দেখা করেন এবং গেহলট সরকারের কাজকর্ম নিয়ে অভিযোগ করেন। রাজস্থান কংগ্রেসের বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন প্রতাপগড়ের বিধায়ক রামলাল মীনাও। তিনি টুইট করে বলেছেন যে, ডুঙ্গারপুর জেলার পার্টি ইউনিট মারাত্মক সংকটে রয়েছে এবং দলের এর প্রতি নজর দেওয়া দরকার।