রাজস্থান কংগ্রেসের তিব্র সঙ্কট, ফায়দা তুলতে তৈরি হচ্ছে বিজেপি
Array
কে বসবেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে? তা নিয়ে ফের দোলাচল শুরু হয়েছে রাজস্থান কংগ্রেসে। আর কংগ্রেসের অন্দরে এই সঙ্কট নিয়ে বিজেপি শিবিরে বেশ খুশি। এই অবস্থা নিয়ে তাঁরা টুইট করা শুরু করেছেন। কংগ্রেসের ৯০ এর বেশি বিধায়ক স্পিকারের সাথে দেখা করছেন।
দাবী কী?
তাঁরা দাবি করছেন যে অশোক গেহলট যিনি দলের জাতীয় সভাপতি পদের জন্য সামনের সারিতে আছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে না থাকেন তবে তারা পদত্যাগ করবেন৷ এর আগে তাদের দাবি ছিল সচিন পাইলটের পরিবর্তে শীর্ষ পদে গেহলটের অনুগত একজনকে রাখতে হবে, যা কেন্দ্রীয় নেতাদের পছন্দ বলে জানা গিয়েছে।
গেহলটের দ্বৈত ভূমিকা
গেহলটের
জন্য
দ্বৈত
ভূমিকায়
থাকার
সম্ভাবনা
এই
সপ্তাহের
শুরুতে
শেষ
করে
দিয়েছিলেন
রাহুল
গান্ধী।
তিনি
"এক
ব্যক্তি
এক
পদ"
নিয়মের
উপর
জোর
দিয়েছিলেন।
গেহলটের
অনুগত
বিধায়কদের
রিসর্টে
নিয়ে
যাওয়া
হবে
কিনা
তা
নিয়ে
জল্পনা-কল্পনার
মধ্যে,
বিজেপির
কেন্দ্রীয়
মন্ত্রী
ভূপেন্দ্র
যাদব
রাহুল
গান্ধীর
সাথে
গেহলট
এবং
সচিন
পাইলটের
একটি
পুরানো
ছবি
টুইট
করেছেন।
ছবিটি
চার
বছর
আগে
রাহুল
গান্ধী
টুইট
করেছিলেন,
যেদিন
তিনি
পাইলটকে
রাজি
করিয়েছিলেন
গেহলটের
ডেপুটি
ভূমিকা
গ্রহণ
করতে।
এইবার এই ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "অনুগ্রহ করে তাদের এবার তাদের এক জায়গায় আসতে বলুন, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের "ভারত জোড়ো যাত্রা"-তে এটা বড় ধাক্কা"। অর্থাৎ তাঁরা বলতে চাইছেন যে দলের অন্দরে ভাঙন তাঁরা আবার ভারত জুড়বে বলে পথে নেমেছে। এমন ভাবে তাঁরা উপহাস করছে কংগ্রেসকে।
বিজেপির উপহাস
বিজেপি
ধারাবাহিকভাবে
কন্যাকুমারী
থেকে
কাশ্মীর
পদযাত্রাকে
উপহাস
করে
আসছে,
বলেছে
যে
কংগ্রেসের
অনেক
সিনিয়র
নেতা
দল
ছাড়ার
দিকে
এগিয়ে
যাচ্ছে।
তাই
দলকে
একত্রিত
করায়
মনোনিবেশ
করা
উচিত।
আরেক
কেন্দ্রীয়
মন্ত্রী,
গজেন্দ্র
সিং
শেখাওয়াত,
টুইট
করেছেন,
"এটি
এমন
একটি
সরকার
যাদের
নিজেদেরই
বেড়া
দিয়ে
বাঁধতে
হবে।"
সমস্যায় কংগ্রেস
কংগ্রেসের ৯২জন বিধায়ক স্পিকারের সাথে দেখা করছেন, জোর দিয়ে বলছেন যে তাদের দাবি পূরণ না হলে তারা পদত্যাগ করবেন। এবার যদি প্রকৃতপক্ষেই রাজস্থান কংগ্রেসের গণ পদত্যাগ হয়, তাহলে সরকারের পতন ঘটাবে এবং রাজ্যকে বিজেপির হাতে ক্ষমতা চলে যাবে। কিছু কংগ্রেস নেতা এই সম্ভাবনাকে খারিজ করে দিয়েছেন, বিধায়কদের পদক্ষেপকে "আবেগজনক অঙ্গভঙ্গি" বলে অভিহিত করেছেন। সবমিলিয়েন এটা অনেকেই বলছেন যে এভাবে চললে সরকারে পতন ঘটবে এবং আগামী দিনেও তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা কম।