রাজস্থানে 'রাজে'-দুর্গের পতন! বিজয়নিশান উড়িয়ে সচিন-ঝড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে কংগ্রেস
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে সেমিফাইনালেই কার্যত ধরাসায়ী বিজেপি। পদ্ম শিবিরের আঁতুরঘর রাজস্থানে কার্যত ধূলিস্যাৎ বিজেপি-র গর্বের 'রাজে' দূর্গ।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে সেমিফাইনালেই কার্যত ধরাসায়ী বিজেপি। পদ্ম শিবিরের আঁতুরঘর রাজস্থানে কার্যত ধূলিস্যাৎ বিজেপি-র গর্বের 'রাজে' দুর্গ। অন্যদিকে , সেরাজ্যের দুই হেভিওয়েট নেতা সচিন পাইলট ও অশোক গেহলটের কাঁধে ভর দিয়ে দাপটে বিজয় নিশান উড়িয়ে এগিয়ে চলেছে কংগ্রেস। রাজস্থানের ২০০ টি আসনের মধ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠতার দৌড়ে এগিয়ে রাহুল শিবির।
প্রাথমিক ট্রেন্ডে সকাল থেকে রাজস্থানের ঝালারপাটন কেন্দ্র থেকে এগিয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। অন্যদিকে ,সরদারপুরা থেকে এগিয়ে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের অশোক গেহলট। রাজস্থান কংগ্রেসের দাপুটে নেতা সচিন পাইলটও এগিয়ে রয়েছেন টঙ্ক থেকে। কার্যত সচিন পাইলট ও অশোক গেহলট সামনে রেখেই এখানে ভোট বৈতরণী পার করেছে রাহুল ব্রিগেড। এদিকে, বিজেপির হেভিওয়েট নেতা জসওয়ান্ত সিং-এর ছেলে মানবেন্দ্র সিং ভোটের কয়েকদিন আগেই দল বদল করেন। কংগ্রেসের টিকিটে রাজস্থানে বসুন্ধরা রাজেকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেও , তিনি শেষরক্ষা করতে পারেনি ঝালারপাটন কেন্দ্র থেকে।
[আরও পড়ুন:ছত্তিশগড়ে ছত্রভঙ্গ বিজেপি, ক্ষমতা আসতে চলেছে কংগ্রেসের হাতে]
উল্লেখ্য, গুজ্জর অসন্তোষ, রাজে সরকারের দুর্নীতি, ক্রমেই দলের মধ্যে বসুন্ধরা রাজের একছত্র দাপট ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজস্থানের বিজেপি রাজনীতিতে টানাপোডেন চলছিল। বহু বিজেপি কর্মী 'রাজে' শাসন মেনে নিনে না পেরে দল ছাড়তে থাকেন। যার প্রভাব গত উপনির্বাচনে পড়ে রাজস্থানে। গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশ সংলগ্ন রাজস্থানের একাধিক জায়গা থেকে বিজয়নিশান উড়িয়েছে কংগ্রেস। আর রাজস্থানে কংগ্রেসের এই বিপ্লবের মূল হোথা ছিলেন সচিন পাইলট। সেই পরিসংখ্যান নিয়েও বিজেপির কেন্দ্রিয় নেতৃত্বের কাছে অনুযোগ অভিযোগ করেন বহু বিজেপি সদস্য। তবে অমিত শাহ সেসবে কর্ণপাত করেননি বলে দাবি অনেকের। এদিকে, কংগ্রেসের অভ্যন্তরেও কোন্দল কিছু কম নেই! সেখানে অশোক গেহলটের সঙ্গে সচিন পাইলটের ' ইগোর' লড়াই বেশ কিছুটা হলেও বিজেপিকে মাইলেজ দিয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে শেষ হাসি কে হাসবেন তা নিয়ে এখনও খানিকটা সময়ের অপেক্ষা।