কমতে পারে রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্তর ভাড়া, ইঙ্গিত রেলমন্ত্রকের
রাজধানী, দুরন্তর মত ট্রেনের ফ্লেক্সি-ফেয়ার সিস্টেম পুনর্বিবেচনা করা হবে, কমতে পারে টিকিটের দাম, রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে
রাজধানী, দুরন্তর মত ট্রেনের টিকিটের দাম কমতে পারে। এমনই ইঙ্গিত মিলল রেল সূত্রে। সেইসঙ্গে এই ট্রেনগুলিতে যে ফ্লেক্সি-ফেয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল তাও পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী মনোজ সিনহা। অন্যান্য ট্রেনের ভাড়াও এই মুহূর্তে বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: রেলে যাত্রী নিরাপত্তা বাড়াতে আসছে 'স্পেস টেকনোলজি']
রেলের আয় বাড়াতে গত বছরই রাজধানী, দুরন্ত, শতাব্দীর মত হাইপ্রোফাইল ট্রেনগুলিতে ফ্লেক্সি-ফেয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ফলে বিমানের টিকিটের দামের মতই এই ট্রেনগুলির টিকিটের দামও ওঠা নামা করে। বেশি আগে টিকিট কাটলে সর্বনিম্ন দামে টিকিট পাওয়া যায়, কিন্তু যাত্রার দিন যতই এগিয়ে আসে টিকিটের দামও ততই বাড়তে থাকে। কিন্তু এই ব্যবস্থা চালুর পর দেখা যাচ্ছে, যাত্রীরা মোটেও খুশি নন। দেখা যাচ্ছে, ট্রেন ফাঁকা থাকলেও বেশি দাম দিয়ে টিকিট কাটতে হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে অনেকেই বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে রাজি না হওয়ায় অধিকাংশ হাই-প্রোফাইল ট্রেনই ফাঁকা যাচ্ছে।
বিষয়টি ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের নজরেও এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, এই ফ্লেক্সি- ফেয়ার ব্য়বস্থা নতুন করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাধারণ যাত্রীদের পকেটে চাপ না দিয়ে কীভাবে রেলের আয়বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ফ্লেক্সি-ফেয়ার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হলে রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্ত-র মত ট্রেনগুলির ভাড়া কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে। গত বছর ফ্লেক্সি ফেয়ার ব্যবস্থা চালুর পর একবছরেরও কম সময়ে রেলের আয় হয়েছিল ৫৪০ কোটি টাকাঔ। কিন্তু সেইসঙ্গে যাত্রীভাড়াবৃদ্ধি নিয়ে অসংখ্য অভিযোগও জমা পড়ছিল। একটা সময়ে দেখা যায়, অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় ফাঁকাই যাচ্ছে এই হাইপ্রোফাইল ট্রেনগুলি। সেকারণেই নতুন করে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।