রেলে আর নয় ভিআইপি সংস্কৃতি, উঠে গেল ৩৬ বছরের প্রোটোকল
রেলে ভিআইপি সংস্কৃতিতে ইতি টানতে ৩৬ বছরের প্রোটোকল তুলে দিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল
রেলে ভিআইপি সংস্কৃতিতে ইতি টানতে ৩৬ বছরের প্রোটোকল তুলে দিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। শুধুমাত্র অফিসেই নয়, বাড়িতেও নিজেকে ভিআইপি না ভাবতে রেলের কর্তাদের নির্দেশ দিলেন রেলমন্ত্রী। রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান কোনও স্টেশনে গেলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে আর আসতে হবে না রেলের জেনারেল ম্যানেজারদের। এমনকি তাঁকে স্বাগত জানাতে ফুলের তোড়া বা কোনও উপহার দেওয়ারও কোনও প্রয়োজন নেই বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন:চলন্ত ট্রেনে কোনও অসুবিধা! টুইটার বা ফেসবুকের মাধ্যমে সাহায্য করছে রেল]
এতদিন পর্যন্ত রেলের প্রোটোকল অনুযায়ী, রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের আসার থাকলে স্টেশনে তাঁকে স্বাগত জানাতে আসতে হত সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার সহ সমস্ত উচ্চ পদস্থ কর্তাদের। কিন্তু গত ২৮ সেপ্টেম্বর একটি নির্দেশিকা জারি ১৯৮১ সালের সেই প্রোটোকলকে তুলে দিল রেলমন্ত্রক। রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি জানিয়েছেন, এবার থেকে রেল কর্তাকে ফুলের বোকে বা উপহারও আর দেওয়া যাবে না। এভাবেই ধাপে ধাপে রেলের ভিআইপি সংস্কৃতি তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত অগাস্ট মাসেই দায়িত্ব নেওয়ার পর অশ্বিনী লোহানি জানিয়েছিলেন, একজনকে স্বাগত জানাতে গোটা দফতরের স্টেশনে উঠে আসা তাঁর নাপসন্দ। এতে কাজের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ভিআইপি কালচার তুলে এবার রেলে কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে আনাই তাঁর লক্ষ্য বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে শুধু দফতরেই নয়, এই ভিআইপি সংস্কৃতি বাড়িতে ছাড়তে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের বাড়ির অনেক কাজও করতে হয় নিচুতলার কর্মীদের। সেই কাজ অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রেলের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রায় ৩০ হাজার ট্র্যাকম্যান কাজের বাইরে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের বাড়ির ফাই-ফরমাশ খাটেন। তাদের যে কাজের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে, সেই কাজে পুনরায় ফিরে আসতে সেই নিচুতলার কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের ট্রেনের সেলুন বা এক্সিকিউিটিভ ক্লাসে যাত্রা না করারও আবেদন জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তাঁদের সাধারণ যাত্রীদের মতই এসি থ্রি টিয়ার ও স্লিপার ক্লাসে যাত্রা করতে বলেছেন রেলমন্ত্রী। পুরনো এই নিয়মের কোনও যৌক্তিকতা নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। রেলমন্ত্রীর মতে, এদেশে একবার প্রোটোকল তৈরি হয়ে গেলে তা চিরকালের মতই থেকে যায়। কিন্তু সেই প্রোটোকলের প্রয়োজনীয়তাকেও বিভিন্ন সময়ে রিভিউ করার প্রয়োজন রয়েছে।