উৎসবের মরশুমে ৮০টি ট্রেনে বাড়ল তৎকাল টিকিটের দাম
এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২৫ জুন সব শ্রেণীতে রেলভাড়া বাড়িয়েছিল। যদিও রেলমন্ত্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়া বলেছিলেন, এটা এনডিএ-র সিদ্ধান্ত নয়। ইউপিএ সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেটা কার্যকর করা হয়েছে মাত্র। পরে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপে লোকাল ট্রেনকে বর্ধিত ভাড়ার আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়। ঠিক হয়, লোকাল ট্রেনে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত পুরনো ভাড়াই থাকবে। তার চেয়ে বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রেই কেবল বর্ধিত ভাড়া কার্যকর হবে।
তৎকাল টিকিটে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়।
প্রথমত, তৎকাল ব্যবস্থা বলবৎ আছে, সারা দেশে এমন ট্রেনের সংখ্যা ২৬৭৭টি। আপাতত ৮০টি ট্রেনে তৎকাল টিকিটের ক্ষেত্রে বর্ধিত দাম দিতে হবে। ১৬টি রেলওয়ে জোনের প্রতিটি থেকে পাঁচটি করে ট্রেন বেছে নেওয়া হয়েছে। যেমন, দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে হাওড়া-সেকেন্দ্রবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেসকে। পশ্চিম রেলওয়ে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে মুম্বই-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসকে।
দ্বিতীয়ত, ৮০টি ট্রেনের সব তৎকাল টিকিটই বেশি দামে বিক্রি হবে না। ৫০ শতাংশ টিকিটের ওপর বর্ধিত দাম নেবে রেল। ধরা যাক, ১০০টি তৎকাল টিকিট রয়েছে কোনও একটি ট্রেনে। ৫০টি টিকিটের ক্ষেত্রে পুরনো ভাড়া দিতে হবে। 'কোটা' ভর্তি হয়ে গেলে বাকি ৫০টি টিকিট বেশি দামে কিনতে হবে।
তৃতীয়ত, প্রশ্ন হল, ঠিক কত শতাংশ বাড়ল টিকিটের দাম? এটা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। কারণ, 'ডায়ানামিক ফেয়ার প্রাইসিং সিস্টেম'-এ ৫০ শতাংশ টিকিটের দাম ঠিক হবে। এর অর্থ হল, কোনও রুটে টিকিটের চাহিদা যত বেশি, দামও বাড়বে ততটা। বিমান বা প্রিমিয়াম ট্রেনের ভাড়ার ক্ষেত্রে এই ফর্মুলা অনুসরণ করা হয়। এ বার ৫০ শতাংশ তৎকাল টিকিটেও সেই নিয়ম চালু হল।
ইউপিএ সরকার ক্ষমতা থেকে যাওয়ার আগে গত এপ্রিলে তৎকাল টিকিটের দাম বাড়িয়েছিল। সংরক্ষিত সেকেন্ড ক্লাস টিকিটের ক্ষেত্রে মূল ভাড়ার ওপর ১০ শতাংশ এবং বাকি শ্রেণীগুলির ক্ষেত্রে মূল ভাড়ার ওপর ৩০ শতাংশ দাম বেড়েছিল।