আদিবাসীদের অবরোধে বিপর্যস্ত পরিষেবা, স্টেশনে স্টেশনে ‘রেল রোকো’য় নাকাল যাত্রীরা
১০ দফা দাবিতে রাজ্যের একাধিক জায়গায় রেল অবরোধ করলেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় রেল অবরোধ হয় উত্তরবঙ্গে থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়।
১০ দফা দাবিতে রাজ্যের একাধিক জায়গায় রেল অবরোধ করলেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় রেল অবরোধ হয় উত্তরবঙ্গে থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর, মালদহ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে অবরোধের জের। শুধু রেল অবরোধ করেই ক্ষান্ত নন আদিবাসীরা, মালদহে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কও অবরোধ করা হয়।
উত্তর দিনাজপুরের কানকি স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু হয় সকাল নটা নাগাদ। পুরুলিয়া কাটান্ডি স্টেশনেও অবরোধে নামের আদিবাসী মানুষেরা। এই স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ বিহার এক্সপ্রেস। পুরুলিয়া স্টেশনেও আটকে পড়ে অনেক ট্রেন। আটকে পড়ে হাওড়া-চক্রধরপুর এক্সপ্রেস। দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর স্টেশনেও অবরোধ শুরু হয়। সেখানে তেভাগা এক্সপ্রেস আটকে পড়ে। যদিও রেল পুলিশ অবরোধকারীদের হটিয়ে তেভাগা এক্সপ্রেসের লাইন পরিষ্কার করে দেয়।
এরপর বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ শুরু করেন অবরোধকারীরা। ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যে জাতীয় সড়কে অবরোধে তুলে দেয় পুলিশ। জলপাইগুড়িতেও অবরোধ করেন আদিবাসীরা। আটকে পড়ে বহু দূরপাল্লার ট্রেন ধূপগুড়িতে আটকে পড়ে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস। রানিনগরে আটকে পড়ে কামরূপ এক্সপ্রেস। নিউ কোচবিহার আটকে পড়ে ওখা-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস।
শুধু এ রাজ্যে নয়, আদিবাসীদের রেল অবরোধ ছড়িয়ে পড়ে অসমেও। অসমের শ্রীরামপুর রেল স্টেশনে অবরোধ শুরু হয়। ফলস্বরূপ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রেল পরিষেবা। এই রেল অবরোধের জেরে আটটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তিনটি ট্রেন ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। আর পাঁচটি ট্রেন শর্ট টার্মিনেট করা হয়েছে। পুনর্নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চালানো হবে একটি ট্রেন।
একঝলকে সেইসব ট্রেনের তালিকা