প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছেন না রাহুল, যদিও নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই কাজ করবে দল
এখন যা পরিস্থিতি তাতে রাহুল গান্ধীকে সামনে আনলেও কংগ্রেসের উঠে দাঁড়ানো মুশকিল। আর সে পরিস্থিতিতে দায়টা পুরো এসে চাপবে রাহুল গান্ধীর কাঁধে। তাই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী না করারই সিদ্ধান্ত নিলেন সোনিয়া। তবে প্রস্তাবে রাহুলের নেতৃত্বেই কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে লড়বে বলে কংগ্রেস এই বার্তাও দিয়ে দিল যে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী না হলেও কংগ্রেসের মুখ রাহুল গান্ধীই। সোনিয়া গান্ধীর পরে রাহুল গান্ধীই হবে কংগ্রেসের এক নম্বর ব্যক্তি, আমাদের নেতা, জানিয়েছেন জনার্দন দ্বিবেদী।
রাহুল গান্ধীই আমাদের ভবিষ্যৎ নেতা : জনার্দন দ্বিবেদী
তবে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী না করার পিছনে অন্য একটি ব্যাখ্যাও দেখছে রাজনৈতিক মহল। তাদের মতে, রাহুল গান্ধীকে প্রার্থী করে কংগ্রেসকে কোনও রকম বাড়তি সুবিধে দিতে চাইছে না কংগ্রেস। কারণ দিল্লি-সহ দেশের চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের যে ফল হয়েছে তার জন্য রাহুলকেই দায়ী করেছেন অনেকে। রাহুল গান্ধীকে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সম্মুখ নামালে সেই ফ্যাক্টরটা বিজেপির পক্ষে যেতে পারে। যা কখনওই চাইবে না কংগ্রেস। আর তাছাড়া এবারে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হলেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রাহুলের কাছে নেই। ভবিষ্যতের সেই পথটা খোলা রাখতেই এই মোক্ষম চালটি সোনিয়া খেললেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিনই বক্তব্য রাখতে উঠে সোনিয়া গান্ধী বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, "সাম্প্রদায়িক শক্তি ও ভাবাদর্শই দেশের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ। কংগ্রেস যেখানে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার পক্ষে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে আমাদের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলের দৃষ্টিভঙ্গি কী? সমাজকে সম্প্রদায়িক ভাবে বিভক্ত করে দেওয়া। তাদের আসল মুখগুলো মুখোশের আড়ালে রয়ে গিয়েছে। তাঁরা নিজেদের মধ্যপন্থী ধারণার বাহক বলে দাবি করেন। আমাদের নেতা-মন্ত্রীদের কলঙ্কিত করতে মিথ্যা অভিযোগ আনেন। এই তাদের মতাদর্শ।
তবে সোনিয়া গান্ধী বিজেপিকে যতই কটাক্ষ করুন না কেন, মোদী ঝড়ের ইঙ্গিত যে তাঁর কাছেও স্পষ্ট রাহলকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী না করা তারই প্রমাণ বলে মনে করছে কংগ্রেসেরই একাংশ।